১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ শাবান ১৪৪৬
`

হাসিনার রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিলো জাতিসঙ্ঘ

মানবাধিকার প্রতিবেদন
-


জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালানো শেখ হাসিনা দেশের রাজনীতিতে আগেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছেন। এবার তার রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিলো জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতরের (ওএইচসিএইচআর) তদন্ত প্রতিবেদন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় হাসিনার সরকার ও তার দলের নৃশংসতার চিত্র তুলে ধরেছে জাতিসঙ্ঘ। যেখানে তারা বলেছে, জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থান চলাকালে ১৪ শতাধিক মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও আওয়ামী লীগ নৃশংসতা চালিয়েছে। আর এই হত্যাযজ্ঞে সমন্বয়ের ভূমিকায় ছিলেন খোদ শেখ হাসিনাই।
জাতিসঙ্ঘের ওই প্রতিবেদন নিয়ে খবর প্রচার করেছে বিবিসি, এএফপি, সিএনএন, রয়টার্স, আলজাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যম। এ নিয়ে দেশ ছাড়িয়ে গোটা বৈশ্বিক রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। বিদেশী গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ‘হাসিনার সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে’Ñ এমন তথ্য বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এমনকি শিশুসহ নিরীহ নাগরিকদের হত্যায় জড়িত অপরাধীরা যেন দায়মুক্তি না পায়, সে বিষয়টিতে জাতিসঙ্ঘ জোর দেয়ায় খোদ আওয়ামী লীগেই নানা ধরনের হিসাব-নিকাশ তৈরি হয়েছে।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ দিনের লুটপাট, গুম-খুন, বিশেষ করে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনাই তার নিজের ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির কবর রচনা করেছিলেন। গদি টেকাতে শেষ পর্যন্ত নৃশংসতার চূড়ান্ত রূপ দেখিয়েছিলেন তিনি। যদিও জনরোষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এবার হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিলো জাতিসঙ্ঘ। জাতিসঙ্ঘের এই প্রতিবেদন শেখ হাসিনার ‘রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক’ ঠুকে দিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন প্রকাশের সময়টায় দেশী-বিদেশী সাংবাদিক এবং বহু বছর বন্দী ছিলেন এমন কয়েকজন ভুক্তভোগীকে নিয়ে হাসিনা সরকারের গোপন টর্চার সেল কুখ্যাত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তারা হাসিনার বন্দিশালার ভয়াবহ স্মৃতিচিহ্ন প্রত্যক্ষ করেন। বন্দিরা স্মৃতিচারণ করেন তাদের লোমহর্ষক সেসব দিন।

জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন প্রকাশের দিন আয়নাঘরের আলামত সামনে আসায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হাসিনার আওয়ামী লীগও। বিভিন্ন সংস্থা ও দফতরে ‘সুযোগের অপেক্ষায়’ ঘাপটি মেরে থাকা তার দোসররাও পড়েছে চাপের মুখে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন, গোপন বন্দিশালার চিত্র দেশের জনগণের মনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে যেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারা পড়েছেন ইমেজ সঙ্কটে, যার পরিণতিতে তাদের সমর্থনও কমবে মারাত্মকভাবে। তা ছাড়া আগে থেকেই জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে জোরাল দাবি উঠেছে। ফলে এটা অনুমেয় যে আগামী দিনগুলোয় শেখ হাসিনার রাজনীতিতে ফেরা প্রায় পুরোপুরি অসম্ভব। নৃশংসতায় অভিযুক্ত ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগেরও রাজনীতিতে ফেরা অত্যন্ত কঠিন হবে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ১৪ শ’ মানুষ, সমন্বয়ে ছিলেন খোদ হাসিনা

জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতায় টিকে থাকতে ছাত্র-জনতার ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনসহ মাঠে থাকা সব বাহিনী বলপ্রয়োগ করেছে। আন্দোলনের সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর (ডিজিএফআই), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আন্দোলনকারীদের সহিংস কায়দায় দমনে সরাসরি জড়িত থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। গোয়েন্দা বাহিনীগুলো শিশুসহ নিরীহ নাগরিকদের নির্বিচারে আটক, গুম, নির্যাতন, তথ্য বের করা বা স্বীকারোক্তি আদায়ের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত ছিল।
জাতিসঙ্ঘের তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে ১ হাজার ৪০০ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো সামরিক অস্ত্র ও শটগানের গুলিতে মারা যান। হাজারো ছাত্র-জনতা গুরুতর ও চিরতরে আহত হয়েছেন। ১১ হাজার সাত শ’র বেশি মানুষকে র‌্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিহতদের মধ্যে ১১৮ জনই শিশু।

পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী শিশুদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে টার্গেট কিলিং, ইচ্ছা করে পঙ্গু করা, নির্বিচারে গ্রেফতার, অমানুষিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন কায়দায় বল প্রয়োগ করেছে। আন্দোলনের শুরুতে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সদস্যরা নারী ও মেয়েদের ওপর হামলা করেছে। এগুলো যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ছিল। এগুলোকে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা বলছে জাতিসঙ্ঘ। নিরস্ত্র নাগরিকের ওপর এসকেএস, টাইপ-৫৬ ও বিডি-০৮ বন্দুক দিয়ে ৭.৬২ এমএম গুলি চালানোরও প্রমাণ পেয়েছে জাতিসঙ্ঘের তথ্যানুসন্ধান দল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল উচ্চ আদালতের সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। তবে এর মূল কারণ ছিল আরো গভীরে ধ্বংসাত্মক, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থার ফলে সৃষ্টি হওয়া অর্থনৈতিক বৈষম্য।
জাতিসঙ্ঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রচ্ছদে স্থান পায় হাসিনার পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো সেই আলোচিত গোলাম নাফিজের ছবির স্কেচ, যেটি তুলেছিলেন ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ। সেই ছবিতে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ নাফিজের নিথর দেহ পড়ে আছে রিকশার পাদানিতে। তার মাথা রিকশার বাইরে ঝুলন্ত প্রায়। মুখ আকাশের দিকে। রিকশাচালক তাকে উত্তাল সড়ক থেকে নিয়ে যাচ্ছেন।

এই স্কেচসহ প্রতিবেদনের চুম্বকাংশ জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতরের (ওএইচসিএইচআর) ফেসবুক পেজে প্রকাশ পেয়েছে, যা আরো আবেদন তৈরি করেছে বিশ্ব মহলে।
জেনেভায় জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। প্যানেল সদস্য হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান ররি মাঙ্গোভেন, মানবাধিকার কর্মকর্তা জ্যোৎস্না পৌদ্যাল ও প্রধান মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি।

বিশ্বমিডিয়ায় হাসিনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর
জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর এ নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে খবর প্রকাশ হয় বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি, সিএনএন, আলজাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ প্রায় সব আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
এর মধ্যে বেশির ভাগই হাসিনার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা সামনে নিয়ে আসে। বিবিসির শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়ন মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটে থাকতে পারে : জাতিসঙ্ঘ’; আলজাজিরার শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশের বিগত সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী হতে পারে, এমনটি বলছে জাতিসঙ্ঘ। ’ রয়টার্সের প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয় ‘বাংলাদেশে বিক্ষোভ দমন অভিযানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন দিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। ’
বিশ্বমিডিয়ার সুবাদে হাসিনার নৃশংসতার খবর দ্রুত এবং ব্যাপক পরিসরে বৈশ্বিক মহলে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিশু, নারীসহ নিরীহ লোকদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগের নিন্দা জানায় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন হাসিনার নৃশংসতার বৈশ্বিক দলিল
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনটি কোনো রাজনৈতিক দল বা সরকারের প্রচলিত প্রতিবেদন নয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থার পর্যবেক্ষণ, যা হাসিনার সরকারের নৃশংসতার বৈশ্বিক দলিল হয়ে থাকবে। গোটা বিশ্বই বাংলাদেশের সেই অভ্যুত্থানকালের ঘটনাকে এই পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে দেখবে।
এরই মধ্যে ইউনিসেফের মতো সংস্থা জাতিসঙ্ঘের সেই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আজমপুরে একটি ১২ বছর বয়সী বালক অন্তত এক ডজন লাশের সাক্ষী। সে ‘বৃষ্টির মতো’ পুলিশের গুলি চালানোর বর্ণনা দিয়েছে। এই ঘটনাগুলো অবশ্যই আমাদের সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলবে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ শিশুদের সাথে ‘আর কখনো এমনটি যেন না ঘটে’ তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছে।

হাসিনার রাজনীতি শেষ, আওয়ামী লীগের পথচলাও কঠিন
রাজনীতি পর্যবেক্ষকদের ভাষ্যে, জাতিসঙ্ঘের এই প্রতিবেদন সাবেক সরকারপ্রধান ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে যেমন অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করাল, তেমনি কঠিন করে ফেলল আওয়ামী লীগেরও পথচলা। এখন আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে হলে তাদের অভ্যুত্থানকালীন ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ এবং অভিযুক্তদের পেছনে ঝেড়ে ফেলা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বলেন, আমার মনে হয়, এটা আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য একটা বড় রকমের ‘সেট ব্যাক’ হয়ে গেল। এটা বড় রকমের এভিডেন্স হয়ে গেল। এই রিপোর্টটা আন্তর্জাতিক মহলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা যখন এটাকে দেখবে সরকারপ্রধান বা অন্যান্য অর্গানাইজেশনের যারা প্রধান আছেন তারা খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। অতীতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন, আরো প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। ফলে শেখ হাসিনার জন্যও এই বিষয়টি পজিটিভ কিছু আনবে না। তার জন্য বিষয়টি আইনগতভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কোনো রকম সুবিধাজনক অবস্থান করবে না।
সাহাব এনাম আরো বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের যে ভূমিকাটা ছিল সেটার বিষয়ে এখানে যথেষ্ট ডকুমেন্টশন, তথ্য-উপাত্ত, প্রমাণ দেয়া হয়েছে। যে কারণে আওয়ামী লীগের বর্তমান রাজনীতিতে ফিরে আসাটা কঠিন হয়ে গেছে।

আয়নাঘরের আলামতে ঘৃণা-বিস্ময়
এ দিকে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন প্রকাশের দিন হাসিনার সরকারের গোপন বন্দিশালা বা আয়নাঘরের নানা আলামত সামনে আসায় শুধু বাংলাদেশে নয়, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতেও বিস্ময় ছড়িয়েছে, বাড়ছে দলটির বিষয়ে ঘৃণাও।
জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন এবং কুখ্যাত আয়নাঘর নামে পরিচিত শেখ হাসিনা সরকারের গোপন টর্চার সেল নিয়ে আবেগঘন একটি লম্বা ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন ভারতীয় সাংবাদিক অর্ক দেব। তার পোস্টে লেখা হয়েছে, যখন আয়নাঘরের ছবি ভিডিও সামনে আসছে আমরা কি এরকম হয়েই থাকে বলে মানবতা বিরোধী ফ্যাসিস্ট প্রকল্পকে বৈধতা দেবো? আমার সন্তান প্রাণপ্রিয়, কিন্তু অন্যের সন্তানের সাথে এমনটা হতেই পারে? দ্বিচারিতা নয় তো এই ভাবনা? আমার তাৎক্ষণিক ঘৃণার চোটে আসলে ইউএপিএর মতো দাসত্ব শৃঙ্খলকেও আমি মান্যতা দিয়ে ফেলছি? এভাবে কত ছিদ্র আটকানো সম্ভব হবে? জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন বলছে, জুলাই-আগস্টে শিশুদের টার্গেট করে গুলি করা হয়েছে। বলা হচ্ছে বাহিনীর অস্ত্রে মৃত ১৪০০, তার মধ্যে শিশু ১১৮। বলা হচ্ছে, অতিরিক্ত বল প্রয়োগ হাসিনার নির্দেশেই। ওএইচসএইচআর ১২৭ পাতার রিপোর্টে র‌্যাব, এনটিএমসিকে বিলুপ্ত করার সুপারিশও করেছে। প্রশ্ন হলোÑ কত মুখ ঘুরিয়ে থাকব? আমি অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ হবে? জাতিসঙ্ঘকেও এবার বলব বায়াসড?

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা পুনর্নির্মাণে প্রয়োজন ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ভিয়েতনামের পার্লামেন্ট চীনের সাথে ৮ বিলিয়ন ডলারের রেল সংযোগ প্রকল্প অনুমোদন সমাজ সংস্কারে আলেম সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা তামাক চাষের নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা রমজানে মুসলিম কর্মীদের এক ঘণ্টা আগে ছুটি তেলঙ্গানায়, আপত্তি বিজেপির খালেদা জিয়াকে প্রতীকী ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত : ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন আইন করে আ’লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক : আবু হানিফ রাজনৈতিক হয়রানির লক্ষ্যে খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়েছে শাহপরী দ্বীপে ২ লাখ পিস ইয়াবাসহ আটক ৭ পাকুন্দিয়ায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী থেকে ভাসমান যুবকের লাশ উদ্ধার

সকল