২ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আলটিমেটাম দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। আগামী ২ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দিলে সংগ্রাম কমিটি গঠন করে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিকরা।
গতকাল মঙ্গলবার সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এ আলটিমেটাম দেন।
বক্তারা বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। এরপরও কোনো তদন্ত হয়নি। তদন্ত সংস্থা র্যাব আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া নিয়ে কেবল সময়ই চেয়েছে, কালক্ষেপণ করে মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। কারণ এ হত্যার সাথে সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেকে জড়িত ছিল।
তারা বলেন, বিগত সরকার এ পর্যন্ত ১১৪ বারের মতো প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পিছিয়েছে। ফলে সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত এ মামলার কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। আমরা প্রত্যাশা করব বর্তমান সরকার এ মামলা এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা জেনেছি আগামী ২ মার্চ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেবে। সে পর্যন্ত আমরা এ সরকারকে সময় দিচ্ছি।
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, বিগত সরকার ফ্যাসিস্ট বলে এ মামলার বিচার হয়নি। এত বড় হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, সেটাও আমরা জানতে পারিনি। বার বার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। কারণ খোদ ওই সরকারের প্রভাবশালীরা এ খুনের সাথে জড়িত।
তিনি বলেন, এখন সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় শেষ। এখন বিপ্লবী সরকার, আমরা আশা করি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার পাবো। তারপরও আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। কোনোভাবে যদি এ সরকারও তদন্ত পেছায়, তবে ২ মার্চ ডিআরইউসহ অন্য সাংবাদিক সংগঠন নিয়ে একটি সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হবে। তখন আমরাও রাস্তায় নামব। জোরালো আন্দোলন হবে।
ডিআরইউর সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে এ বিচার করেনি। বার বার এড়িয়ে গেছে। তারা র্যাবকে দিয়ে নাটক করেছে। ওই সংস্থা সাড়ে ১২ বছরে তদন্তে প্রতিবেদন দিতে পারেনি। এখন আমরা আশা করি পিবিআই সঠিক সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে, এ সরকার সাংবাদিকদের এতবড় দুর্ঘটনা নিয়ে কোনো কালক্ষেপণ করবে না।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, এতদিনের এত আন্দোলন ও সংগ্রামের পরও এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কোনো অগ্রগতি হয়নি। কারণ ওই সময় সরকার জানতো তাদের নাম এ হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে যাবে। এবার বিচার না হলে জাতীয় প্রেস ক্লাব, ডিআরইউ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সব সাংবাদিক সংগঠন নিয়ে বৃহৎ সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হবে।
ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স (ক্র্যাব) এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশা প্রমুখ। সমাবেশে সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী সদস্য, সাগর-রুনির সহকর্মী, অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা