মেলার প্রবেশ পথে আরেক মেলা
- আবুল কালাম
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বইমেলায় প্রবেশ পথেই চলছে আরেক মেলা। দোয়েল চত্বর থেকে কিংবা টিএসটির দিক থেকে সোহরাওয়ার্দী অথবা বাংলা একাডেমিতে ঢোকার আগেই রাস্তায় বসেছে এ মেলা। হরেক রকমের জিনিসের এই পসরা বইমেলায় আগতদের বাড়তি আনন্দের জোগান দিচ্ছে। তবে এতে কিছুটা বিড়ম্বনাও আছে। বইমেলার গোছানো পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ফলে আনন্দের সাথে বিরক্তিও প্রকাশ করছেন অনেকে। গতকাল দোয়েল চত্বরের দিক থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার আগেই দেখা যায় মেলার প্রবেশ গেটের সামনের প্রশস্ত রাস্তায় নানান পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। এরমধ্যে শিশুদের খেলনা থেকে শুরু করে নানা ধরনের খাবার সামগ্রীও ছিল। যার অন্যতম বেলুন, ভাজাপোড়া-পেঁয়াজু, বেসন দিয়ে ভাজা চিংড়ি, ছোটদের প্লাস্টিকের নানান খেলনা, কচি ডাবের পুডিং, চুড়ি, ফিতা, ইমিটেশনের গয়না, ভিউকার্ড, কাপড়ের পুতুল, মাটির হাঁড়ি ও কাপড়ের ফুলসহ ছিল অসংখ্য পণ্যের সমারোহ। তাতে ক্রেতাও একেবারে কম না। মেলা থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার পথে অনেকেই এগুলো কিনছিলেন। আবার দল বেঁধে রাস্তায় বসে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে পেঁয়াজুসহ নানান ভাজাপোড়া খাচ্ছিলেন।
বইমেলা থেকে ফেরার পথে হাবিবা নিম্মি নয়া দিগন্তকে বলেন, বইমেলার যে পরিবেশ থাকা প্রয়োজন বাইরের এ মেলা তা নষ্ট করছে। তার ভাষ্য, হকারদের কারণে প্রবেশ পথটা একেবারে ‘হিবিজিবি’। ফলে তা আনন্দের পরিবর্তে অনেকটা বিরক্তিকর হয়ে পড়েছে।
চুড়ি বিক্রেতা ছামিরা জানান, অন্যান্য স্থানের চেয়ে এখানে বিক্রি ভালো। মানুষ মেলায় প্রবেশ কিংবা বের হতেই চুড়িসহ পছন্দের সামগ্রী কিনছে। বইমেলায় যারা আসেন তারা সাধারণত অন্যান্য মেলায় কম যান। তাই এদের অনেকের কাছে চুড়ি পছন্দের। ফলে বইয়ের সাথে তারা চুড়িও কিনছেন।
মেলার ভেতরে ঢুকতেই কিছু হকারের দেখা মিলেছে। অনেককে দেখা গেল ফেরি করে ফুল ও সাজসজ্জা সমাগ্রী বিক্রি করছেন। এতে মেলার পরিবেশ একটু নষ্ট হলেও অনেকে তাতে অনন্দিত। তবে একাধিক বিক্রেতা এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। মেলার ভেতরে বাদাম বিক্রেতা, ঝালমুড়িওয়ালারও দেখা মিলল। এমতাবস্থায় বিক্রেতারা বলছেন, হকারদের কারণে পরিবেশ নষ্টের সাথে বিক্রিতে বিঘ্ন ঘটে। এদের কারণে অনেক পাঠকও বিরক্তবোধ করেন।
মেলায় আগামী প্রকাশনী নিয়ে এসেছে চেতনায় নজরুল। আবদুল লতিফ। সামনা সামনি। ফরহাদ মজহারের সাথে কথাবার্তা। ভাষা আন্দোলন আবদুল গাফফার চৌধুরী। এম আবদুল আলীম। অতঃপর বিষণ্ণতা, লেখক উৎপল দত্ত।
এ ছাড়া মেলায় এবারের নতুন বইয়ের মধ্যে আগামী প্রকাশনী এনেছে হাসনাত আবদুল হাইয়ের উপন্যাস জুলাই ক্যালাইডোস্কোপ। প্রথমা প্রকাশন এনেছে মাসউদ আহমাদের অদ্বৈত মল্লøবর্মণের জীবন ও সময়কেন্দ্রিক উপন্যাস তিতাসের বুনো হাঁস, ভাষা প্রকাশ এনেছে লোকসাহিত্যবিষয়ক বই যাকির সাইদ সংগৃহীত ও সম্পাদিত মুন্সীগঞ্জের মেয়েলি গীত, রিদম প্রকাশনা সংস্থা এনেছে জসিম মল্লিকের উপন্যাস তোমার স্বপ্নের হাতে, বিশ্বসাহিত্য ভবন এনেছে রকিবুল হাসানের প্রবন্ধ সংস্কৃতি পরম্পরা : অভিঘাত অভিজ্ঞান, ঐতিহ্য এনেছে মেসবাহ কামালের কবিতা পৃথিবী শোষণহীন একদিন, বাংলা প্রকাশ এনেছে ড. মাহবুব হাসানের প্রবন্ধ গদ্যের ম্যাজিক, অনন্যা এনেছে মতিন রায়হানের নির্বাচিত কবিতা, বৈতরণী এনেছে নিজাম বিশ্বাসের কবিতা জলমাকড়ের নৌকাবাইচ, কথাপ্রকাশ এনেছে দন্ত্যস রওশনের কিশোর গল্প গল্পবেলা, স্বপ্ন-৭১ এনেছে তৌহিদুল ইসলামের রম্যরচনা বিয়ে বাড়িতে ইয়ে, পাঞ্জেরী এনেছে রফিকুর রশীদের কিশোর উপন্যাস সেই এক ভুতুড়ে ক্লাব, বাংলা একাডেমি এনেছে আজাদ রহমানের বাংলা খেয়াল তৃতীয় খণ্ড, সময় এনেছে দীপু মাহমুদের উপন্যাস উষ্ণতা।
গতকাল ১১তম দিনে মেলা শুরু হয়ে বেলা ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জীবন ও সাহিত্য : শাহেদ আলী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিবলী আজাদ। আলোচনায় অংশনেন নাজিব ওয়াদুদ এবং মোস্তাক আহমাদ দীন। এতে সভাপতিত্ব করেন চঞ্চল কুমার বোস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা