০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ৯ শাবান ১৪৪৬
`

ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে : নৌ উপদেষ্টা

-

নাইক্ষ্যংছড়ি মিয়ানমার সীমান্ত সড়ক ও ঘুমধুম স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম. সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ঘুমধুম সীমান্ত সড়ক ও স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর তিনি টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সীমান্ত সড়ক দেখা হয়েছে। সীমান্তের নিয়োজিত বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের স্থান ও সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এখানে একটি বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনের (আরাকান) রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের দিকে নজর রাখছে সরকার। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাথে আগের মতো সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাথে নৌ পথের চেয়ে স্থলপথ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনেকটা সুবিধাজনক। কক্সবাজার থেকে ঘুমধুম হয়ে মিয়ানমারের সিতওয়ে পর্যন্ত দীর্ঘ সংযোগ সড়ক রয়েছে। যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে সুযোগ তৈরি হবে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের সাথে মিয়ানমারের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ছিল। হঠাৎ রাখাইনের অস্থিরতার কারণে বাণিজ্যের কিছুটা ঘাটতি হয়েছিল। রাখাইন স্বাভাবিক হলে ব্যবসা বাণিজ্যও স্বাভাবিক হবে এমন আশা করে সরকারের এ উপদেষ্টা।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে টেকনাফ স্থলবন্দরকে নৌবন্দরে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে। অথবা আন্তর্জাতিক কোনো বিষয় থাকলে দেখা যাবে, এটা সিপিএর (চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি) অধীনে হতে পারে।
পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: আবদুল্লাহ ইয়ামিন, কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্নেল মো: ফারুক হোসেন খানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা সাথে ছিলেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement