০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ৯ শাবান ১৪৪৬
`
৩৫ হাজার অবৈধকে দেশে ফেরত পাঠাল কুয়েত

আজ থেকে শুধু কফিলের জমা ভিসা সত্যায়নের আবেদন নেবে দূতাবাস

-

কুয়েত সরকারের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২৪ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ৩৫ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ কর্মীর ভিসা সম্পর্কিত ধারণা না থাকায় বৈধভাবে কুয়েতে যাওয়ার পরও তারা অবৈধ হিসেবে কাজ না করে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে একপর্যায়ে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, গ্রেফতার হওয়া বেশির ভাগ শ্রমিক ফের ভিসা নিয়ে প্রবেশেরও যোগ্যতা হারাচ্ছেন।
এ দিকে বাংলাদেশী কর্মীদের স্বার্থ রক্ষার্থে আজ রোববার থেকে (৯ ফেব্রুয়ারি) কুয়েতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস একক ভিসা সত্যায়নের বিষয়ে নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে শুধু কফিলের মাধ্যমে জমা হওয়া একক ভিসা সত্যায়নের আবেদন কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস গ্রহণ করবে বলে বিশেষ এক বিজ্ঞপ্তিতে আগেই জানানো হয়েছিল।

প্রবাসী বাংলাদেশীরা বলছেন, দেশ থেকে একজন শ্রমিক ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা খরচ করে কুয়েতে আসছেন। এরপরও কিছু ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের মিথ্যা কথায় বিভ্রান্ত হয়ে একক ভিসায় আসার পরপরই মালিক (নিয়োগকর্তা) তাদের অনুমতি বাতিল করে তার জায়গায় অন্য শ্রমিককে নিয়োগ দিচ্ছেন। এ ছাড়া মালিক কাজ না দিয়ে ভিসা লাগিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন তাদের। ফলে ওই ব্যক্তি অন্য মালিকের কাজ করতে গিয়ে আবাসন আইন লঙ্ঘন করছেন। ফলে সতর্কবার্তা জরিমানা অথবা ছয় মাসের মধ্যে দেশ ত্যাগের হলুদ পেপার ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের। যথাসময়ে না গেলে করা হচ্ছে কালো তালিকাভুক্ত। এভাবেই বাংলাদেশী কর্মীরা হয়ে যাচ্ছেন অবৈধ। ক্ষুণœ হচ্ছে দেশের ভাবমর্যাদা।

এর আগে কুয়েতের একক ভিসা সত্যায়নের বিষয়ে গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) মোহাম্মদ আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী ‘ব্যক্তিগত কফিল’ (ভিসা ২০) বা ছোট কোম্পানির (ভিসা ১৮) অধীনে একক ভিসা নিয়ে কুয়েতে আসছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দালালদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হয়ে একক ভিসায় কুয়েতে এসে কিছু দিন পরেই কফিলওই বাংলাদেশী কর্মীর ইকামা (বসবাসের অনুমতি) বাতিল করে তার জায়গায় অন্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিচ্ছেন। এর ফলে তারা অবৈধ হয়ে কুয়েতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বাংলাদেশে ডিপোর্ট হয়ে যাচ্ছেন। এতে কর্মী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষুণœ হচ্ছে দেশের ইমেজও। এমন অবস্থায় বাংলাদেশী কর্মীদের স্বার্থে ৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) থেকে শুধু কফিলের মাধ্যমে জমা হওয়া একক ভিসার সত্যায়নের আবেদন জমা নেয়া হবে। এই নিয়মে কর্মীরা উপকৃত হবেন বলে মনে করছে বাংলাদেশ দূতাবাস।


আরো সংবাদ



premium cement