৭২-এর সংবিধান একটি অবৈধ সংবিধান : ডা: তাহের
- শরীয়তপুর প্রতিনিধি
- ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৮
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19691013_183.jpg)
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, যারা সংবিধান রচনা করেছিলেন তারা পাকিস্তান গণপরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছিল গণভোটের। তারা সেটাও করেননি। যাত্রাই শুরু করেছি আমরা অবৈধভাবে। সুতরাং সেই সংবিধান কিভাবে বৈধ হতে পারে? তাই ৭২-এর সংবিধান অবৈধ অংবিধান। ৭২-এর সংবিধান আমাদের চেতনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। সংবিধান রচনা করতে হবে এ দেশের মানুষের চিন্তা-চেতনা ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ সংবিধান প্রণয়ন করা নয়। তবে নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম সংস্কার করতে হবে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। এমন কিছু মৌলিক সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে শরীয়তপুর পৌরসভা মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, বাংলাদেশ এমন এক দেশ, যেখানে কখনোই স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা পায়নি। ১৯৪৭ এর স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয়নি, ১৯৭১ এ সংগ্রাম করতে হয়েছে। ১৯৭১ সালে পৃথিবীর বুকে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই স্বাধীনতা পূর্ণতা অর্জন করেনি। এরপর ২০২৪ এর স্বাধীনতা বা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। এর কারণ আমরা অনাকাক্সিক্ষতভাবে অযোগ্য নেতৃত্ব পেয়েছিলাম। তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের অংশ হিসেবে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু ভুল নেতৃত্বের কারণে আমরা দেখলাম, গণতন্ত্র হত্যা করে তারা বাকশাল কায়েম করল। বাকশালের পরিণতি যে কী হয়েছিল, তা এ দেশের মানুষ দেখেছে।
বাংলাদেশের ভাইয়েরা ৫৪ বছর ধরে নির্যাতিত হয়েছেন, ঠকেছেন। আমাদেরকে একবার বিশ্বাস করে দেখেন, ইনশা আল্লাহ ঠকবেন না। তাতে না হয়, ৫৪ সাথে আর ৫ যোগ হবে, এই তো। কিন্তু একবার আমাদেরকে দেন। দেখুন, যদি জামায়তে ইসলামী নৈতিকতা ও কল্যাণের ভিত্তিতে আদর্শ রাষ্ট্র তৈরি করে নারীর অধিকার, পুরুষের অধিকার, শ্রমিক, মেহনতি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম সবার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। তাহলে জামায়াতে ইসলামকে ক্ষমতা দিয়ে দেখেন। ইনশা আল্লাহ আমরা আপনাদের আমানত রক্ষা করব।
শরীয়তপুর জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য ও ডামুড্যা পৌরসভা আমির আতিকুর রহমান কবীর এবং জেলা শূরা সদস্য মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের পরিচালনায় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুর রব হাশেমীর সভাপতিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম খান মিলন, শরীয়তপুর-১ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ, শরীয়তপুর-২ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মো: মাহমুদ হোসেন, শরীয়তপুর-৩ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মো: আজহারুল ইসলাম, ফরিদপুর টিম সদস্য মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, শামসুল ইসলাম আল বরাটি। অন্যদের মধ্যে ফরিদপুর টিম সদস্য ও শরীয়তপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা খলিলুর রহমান, গোপালগঞ্জ জেলা আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম, মাদারীপুর জেলা আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমান, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও শরীয়তপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কে এম মকবুল হোসাইন, শরীয়তপুর জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মাসুদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চাই : মাওলানা এ টি এম মা’ছুম
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম বলেছেন, আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে আমরা এমন একটা দেশ গড়তে চাই, যে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। কোনো চাঁদাবাজ, দুষ্কৃতকারী ও দুর্নীতিবাজ থাকবে না। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান অধিকারের ভিত্তিতে বসবাস করবে। দেশাত্মবোধের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করতে সচেষ্ট থাকবে। এর মাধ্যমে একটি কল্যাণমুখী দেশ হবে।
গতকাল দিনব্যাপী সাতক্ষীরা শহরের আল আমিন ট্রাস্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহর সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহা: ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাশার প্রমুখ।
শিক্ষাশিবিরে অন্যান্যের মধ্যে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির শেখ নুরুল হুদা, ডা: মাহমুদুল হক, সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক ওমর ফারুক, জেলা, অফিস সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা