০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ৯ শাবান ১৪৪৬
`

প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

-

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছয় মাসের কার্যক্রম নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এ যাবৎ দুই হাজার একরের বেশি বনভূমি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প হতে ফেরত আনা হয়েছে। গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বনভূমির অবৈধ দখলমুক্ত করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মধুপুর শালবনের বননির্ভর জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই ছয় মাসে জনগণের প্রত্যাশা চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন কাজ হলো মাইক্রো ইস্যুতে না গিয়ে ম্যাক্রো ইস্যুতে থেকে কাজ করা। তিনি বলেন, দেশের জনমানুষ সমর্থন দিয়েছে, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন, সাহসের জায়গা। জনগণের সমর্থনেই অনেক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা তার দুই মন্ত্রণালয় কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে বলেন, মানুষের দুর্ভোগ কমাতে বায়ুদূষণ নিয়ে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাস্তায় পানি ছিটিয়ে তো আর বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব নয়। আমরা দেখছি কোন কোন জায়গায় কিভাবে বায়ুদূষণ কমানো যায়। জনস্বার্থে ও পরিবেশ রক্ষায় ধুলা নিয়ন্ত্রণেও আমরা কাজ শুরু করেছি।

উপদেষ্টা আরো বলেন, ভাঙা রাস্তা, রাস্তার আস্তরণ আর নির্মাণসামগ্রী উন্মুক্ত রাখার স্থানসহ ইটভাটা থেকে ধুলো আসে, আবার শীতকালেও বায়ুদূষণ বেশি হয়। এসব বিবেচনায় নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাজধানী ঢাকা নিয়ে একটা সার্ভে করেছে। কোথায় রাস্তা ভাঙা আছে, রাস্তার পাশে সেøাপ বা ডিভাইডারের ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেখানে গাছ লাগানো হবে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো ভাঙা রাস্তাগুলো মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নির্মাণকাজে জড়িত বেশির ভাগ ঠিকাদারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নতুন করে প্রচেষ্টা শুরু করতে হচ্ছে। আশা করছি, আগামী অক্টোবরের মধ্যে ভাঙা রাস্তাগুলো ঠিক করা সম্ভব হবে।
পরিবেশ রক্ষা ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাস্তার পাশে ডিভাইডার ও সেøাপ এরিয়াতে বৃক্ষ রোপণের ক্ষেত্রে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
মাত্র চার জন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে সারা দেশের ইটভাটা বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে যেসব জায়গায় অবৈধ ইটভাটা রয়েছে এবং যে যেসব ইট ভাটায় ‘ধোয়া’ বেশি আসে সেগুলোকে ‘নো ব্রিকফিল্ড জোন’ ঘোষণা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারের বিশেষ উদ্যোগে শপিংমলগুলো হতে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার অনেকাংশে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, পরিবহন ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও আইনপ্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে।
সেন্ট মার্টিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেক সিদ্ধান্ত হয়েছে যা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আমরা বাস্তবায়ন করেছি। বাস্তবায়ন করতে গিয়েও বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement