০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১, ৪ শাবান ১৪৪৬
`
গ্রন্থমেলায় প্রাণের উৎসব

দুই দিনে এসেছে অর্ধশত নতুন বই

গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত শাইখ মুহাম্মদ আওয়ামাহের ১০০ হাদিসে কুদসি; মহিউদ্দিন আহমদের খালেদা; কায় কাউসের ইতিহাসের ছিন্নপত্র এবং মুহাম্মদ মিযান বিন রমজান তানজিল আমিরের নবিজির ওফাত বইয়ের প্রচ্ছদ -


অমর একুশে বইমেলায় দুই দিনে প্রায় অর্ধশত বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিন কোনো বই প্রকাশিত হয়নি। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে মোট প্রকাশিত হয়েছে ৪৫টি নতুন বই। এর মধ্যে ২ ফেব্রুয়ারি ১৩টি এবং ৩ ফেব্রুয়ারি ৩২টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কবিতার বই।
বিক্রেতারা জানান, মেলায় যত বই আসছে তার মধ্যে নতুন কবিদের বই বেশি। এর মধ্যে প্রবন্ধ, গবেষণা, ছড়া, শিশু সাহিত্য, জীবনী প্রকাশিত হলেও রচনাবলী, মুক্তিযোদ্ধ, নাটক এসব বই এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে মেলার সময় অতিবাহিতের সাথে বই বাড়বে বলে জানান তারা।

গতকাল বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া মেলা চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হায়দার আকবর খান রনো আজীবন বিপ্লব-প্রয়াসী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সোহরাব হাসান। আলোচনায় অংশ নেন আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন, জলি তালুকদার এবং অনন্যা লাবণী পুতুল। সভাপতিত্ব করেন দীপা দত্ত।
প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের বাম রাজনীতির অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন হায়দার আকবর খান রনো। তিনি ছিলেন এ দেশের বাম রাজনীতির একই সঙ্গে ছাত্র ও শিক্ষক। অগ্রজদের কাছ থেকে যে শিক্ষা নিয়েছেন সেটাই তিনি পৌঁছে দিয়েছেন অনুজ কমরেডদের কাছে। হায়দার আকবর খান রনো কখনো কট্টরপন্থার অনুসারী ছিলেন না। তিনি ভিন্ন মেরুর বামপন্থী নেতাদের একসঙ্গে বসিয়ে আলোচনার পথ খুলে দিতে সচেষ্ট ছিলেন। বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎপরবর্তী স্বৈরাচারবিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে রনোর ভূমিকা ছিল প্রত্যক্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির বাইরেও বিচিত্র বিষয়ে তার আগ্রহ ছিল। তিনি মার্ক্সবাদী দর্শন ও বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো অত্যন্ত সহজ ভাষায় পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে দীপা দত্ত বলেন, হায়দার আকবর খান রনো ছিলেন আজীবন বিপ্লবী। তিনি কেবল কমিউনিস্ট নেতাই নন, একজন তাত্ত্বিকও। তার লেখনী, রাজনৈতিক আদর্শ, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা আমাদের জন্য আগামীর প্রেরণা হয়ে থাকবে।

লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন- কবি চঞ্চল আশরাফ এবং শিশু সাহিত্যিক আতিক হেলাল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন- কবি মোহন রায়হান ও রেজাউদ্দিন স্টালিন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহমুদা সিদ্দিকা সুমি এবং হ্যাপি হাবিবা। ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামানের পরিচালনায় ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাঁশরী’ পরিবেশনা।
মেলায় এসেছে লেখক মহিউদ্দিন আহমদ এর বই ‘খালেদা’ এর দ্বিতীয় সংস্করণ। এটি প্রকাশ করেছে অনন্যা। এটি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের আখ্যান।
প্রকাশনা সংস্থা ‘ইলহাম’ নিয়ে এসেছে দুটি বই। এর একটি হলো হাদিসের বই ‘১০০ হাদিসে কুদসি’। লেখক শায়েখ মুহাম্মাদ আওয়ামাহ। এর অনুবাদক আব্দুল্লাহ ইয়াছিন শরীফী। অন্যটি ‘নবিজির ওফাত’। এ বইটির লেখক মুহাম্মদ মিযান বিন রমজান। বিষয় সিরাতে রাসূল সা:।
গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স প্রকাশ করেছে ‘ইতিহাসের ছিন্নপত্র’। বিশেষ সঙ্কল-১। এটি অবিভক্ত ভারতে সাম্প্রদায়িকতা ও শহিদ নজির। এর লেখক কায়কাউস।
আজ বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘কুমুদিনী হাজং’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পাভেল পার্থ। আলোচনায় অংশ নেবেন মতিলাল হাজং এবং পরাগ রিছিল। সভাপতিত্ব করবেন আবু সাঈদ খান।

 


আরো সংবাদ



premium cement