০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১, ৪ শাবান ১৪৪৬
`

অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রফতানি আয়ে ১১.৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

-

চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.৬৮ শতাংশেরও বেশি। উল্লিখিত সময়ে মোট ২৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য।
দেশের রফতানি আয়ের তথ্যে দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। টানা চার মাস ধরে চার বিলিয়ন মানে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রফতানি হচ্ছে। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে ৪৪৪ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে তৈরী পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা, হিমায়িত খাদ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রফতানি বেড়েছে। তবে চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের রফতানি কমেছে। কিন্তু রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি যেহেতু তৈরী পোশাক খাত থেকে আসে, সেহেতু এই খাতের রফতানি ওপরই নির্ভর করে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি। এই খাতে জানুয়ারি মাসের রফতানি ৫ দশমিক ৫৭ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ফলে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিও এর কাছাকাছিই রয়েছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে গত জুলাই ও আগস্টে পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছিল। সেপ্টেম্বরে অবশ্য ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়; রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৮৬ কোটি ডলার। অক্টোবর ও নভেম্বরে যথাক্রমে ৪১৩ ও ৪১১ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়। তার মধ্যে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অক্টোবরে ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও নভেম্বরে সাড়ে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। আর ডিসেম্বরে ৪১১ কোটি ডলারের পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৮ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দুই হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের তৈরী পোশাক রফতানি হয়েছে। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। শুধু জানুয়ারিতে তৈরী পোশাক রফতানি হয়েছে ৩৬৬ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এদিকে রফতানি আবার চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে টপকে দ্বিতীয় শীর্ষস্থানে চলে এসেছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৬৭ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রফতানি হয়েছে। এই রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। জানুয়ারিতে সাত কোটি ৮৩ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রফতানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে ৬৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়। এই রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া শুধু জানুয়ারিতে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়েছে ৯ কোটি ডলারের, যা গত বছরের একই মাসের চেয়ে পৌনে ৫ শতাংশ কম।

 


আরো সংবাদ



premium cement