০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১, ৩ শাবান ১৪৪৬
`
তিতুমীর কলেজ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা

দাবির মুখে সরকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না

-

দাবির মুখে সরকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে না বলে পরিষ্কার জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা চিন্তা করছি সাতটি কলেজকে একত্রিত করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করা যায় কি না। এ জন্য কাজ করছে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটি।
শুধু তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে, আলাদা গুরুত্ব দিয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হবে না। এই দাবির কোনো যৌক্তিকতাও নেই। আলটিমেটাম বা সময় বেঁধে দিয়ে কখনো বিশ্ববিদ্যালয় হয় না। আমরা দাবি- দাওয়ার জন্য আসিনি। একটা সুশাসন ও সংস্কারের জন্য এসেছি।
শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এ অবস্থায় একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সময় বেঁধে দিয়ে যে আন্দোলন করছে, সেটি ঠিক নয়। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা কিছু সংস্কারকাজ করছি। সেখানে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে আন্দোলন করা যৌক্তিক নয়। ছাত্ররা আন্দোলন করে ভালো, কিন্তু তাদের তো পড়ালেখা করতে হবে। পরীক্ষা না দিলে তো ভবিষ্যতে সমস্যা হবে।

তিতুমীর কলেজকে বিশেষ বিবেচনায় নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি কোনো বিশেষ বিবেচনা করিনি। বিশেষ বিবেচনায় যদি নিয়ে থাকি তবে সেটি হবে রাজশাহী কলেজ। দেশে অনেক ঐতিহ্যবাহী কলেজ আছে। যেমন-রাজশাহী কলেজ সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও আগে হয়েছে। তাহলে সেখানেও কি বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে? বর্তমানে প্রায় ৫০ এর ওপর বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যার অর্ধেকই হয়েছে গত সাত বছরে। এসবের বাইরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চাপ সৃষ্টি করবে। আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবো না যাতে আগামী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে তৈরির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা কাজ করছেন। দেশের মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অর্ধেকই গঠিত হয়েছে সবশেষ সাত বছরে, যা বিশ্বে এক অনন্য রেকর্ড। যারা নিয়মিত ক্লাস করতে চায় এবং জনদুর্ভোগ যেন না হয় সেদিকে নজর রেখে কর্মসূচি দেয়া উচিত।

 


আরো সংবাদ



premium cement