কুড়িয়ে পাওয়া সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে কব্জি হারাল শিশু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১০
রোববার বিকাল আনুমানিক ৪টা। অন্যান্য শিশুদের মতো খেলছিল আট বছরের নুরুল ইসলাম। যেখানে সে খেলছিল তার পাশেই ময়লার স্তূপ। এর পাশে গাছে বড়ই পাড়তে গিয়ে না বুঝেই সাউন্ড গ্রেনেড হাতে নেয়। তখন অন্যরা বলছিল সেটি ফেলে দিতে। কিন্তু নুরুল ইসলাম সেটি নিয়ে পানিভর্তি বালতিতে রাখেন। পানিতে থাকা অবস্থায় পিন ধরে টানতেই বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই বিস্ফোরণে এক হাতের কব্জি উড়ে গেছে তার। রাজধানীর কদমতলীর জাপানি বাজার ৪ নম্বর রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে শিশু নুরুল ইসলাম সেখানে ভর্তি রয়েছে।
মা বিউটি বেগম বলেন, ছেলে যখন খেলতে যায় তখন আমি ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলাম। হাতে করে বোমাসদৃশ্য বস্তু হাতে নিয়ে বাসায় আসে। আমিও বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বালতির ভেতরে থাকা বস্তুটির পিন ধরে টান দিতেই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। শব্দ পেয়ে অন্যদের মতো আমিও ছুটে গিয়ে দেখি ছেলের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
তিনি বলেন, আমি মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করি। স্বামী রিকশা চালায়। কিন্তু ছেলে যে আজীবনের জন্য পঙ্গু হলো তার দায় নেবে কে ?
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাউন্ড গ্রেনেড মূলত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। এমন মারাত্মক জিনিস এখানে এলো কিভাবে? তাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে কেউ সাউন্ড গ্রেনেড এখানে ফেলে গেছে।
কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাফায়েত হোসেন বলেন, বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে যান। সেখানে লোকজনের কাছে জানতে পারেন এটি যখন কুড়িয়ে নিচ্ছিল তখন অনেকেই বাধা দেন। বাধা উপেক্ষা করে শিশুটি সেটি নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, সাধারণত সাউন্ড গ্রেনেড পাওয়ার সাথে সাথে ছুড়ে মারতে হয়। তা না হলে সেটি বিস্ফোরণ করে। সাউন্ড গ্রেনেড আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেই থাকে। তারপরও সেটি কোথা থেকে এলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা