০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১, ৩ শাবান ১৪৪৬
`

সমুদ্রে তথ্য সংগ্রহে রোবট

-

সমুদ্রে জরিপ পরিচালনা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য স্বয়ংক্রিয় রোবট তৈরি করেছে বার্লিনের কোম্পানি ইভোলজিক্স। এর প্রধান নির্বাহী ফাবিয়ান বানাশ বলেন, ‘আমরা প্রকৃতির সৌন্দর্য, তার রূপ, তার নান্দনিকতা এবং এটি যেভাবে কার্যকর থাকে তা পছন্দ করি। সব কিছুর একটা প্রযুক্তিগত উদ্দেশ্য থাকে। এসব যন্ত্রের আকার অনেক বেশ ডায়নামিক হয়ে থাকে, হাইড্রোডাইনামিক ড্র্যাগ অনেক কম থাকে, এগুলো সামনে এগোতে অনেক কম শক্তি ক্ষয় করে, আর শব্দও অনেক কম হয়। আর যোগাযোগ প্রযুক্তির জন্য আমরা ডলফিনের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছি। এ ছাড়া ডাটা কানেকশনও অনেক ভালো। আর সব কিছুই অনেক পরিবেশবান্ধব।’
ইভোলজিক্সের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত যন্ত্রের নাম সনোবোট, যা একটি ছোট্ট কাটামারান। এটি দিয়ে সহজে ও দ্রুত কোনো এলাকায় পানির গভীরতা মাপা যায়। কাটামারানে থাকা কম্পিউটার এআই ব্যবহার করে, যা হারিয়ে যাওয়া পণ্য বা এমনকি মানুষও খুঁজে পেতে সহায়তা করে।
বর্তমানে ইভোলজিক্সে প্রায় ১০০-র মতো কর্মী আছে। দিনে তারা এক বা দু’টি সনোবোট তৈরি করছেন। কনফিগারেশনের ওপর নির্ভর করে এগুলোর দাম এক থেকে পাঁচ লাখ ইউরো হয়ে থাকে। প্রায় ৬৫ দেশের ক্রেতা বাঁধ, উইন্ডপার্ক, ব্রিজ তৈরিতে বা পাইপলাইনের দেখাশোনা করতে এগুলো ব্যবহার করছেন। হার্বার এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো দেখাশোনা করতেও এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ফাবিয়ান বানাশ বলেন, জার্মানি ও ইউরোপে মেরিটাইম নিরাপত্তা ও চ্যালেঞ্জ এখন বড় ইস্যু এবং এটা আমাদের মেনে চলতে হবে।’ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আছে কোয়াড্রোইন, আরেকটি মেরিটাইম রোবট, দেখতে পেঙ্গুইনের মতো। সনোবোটের মতো এটি পানির অনেক গভীরে গিয়ে মেরিটাইম ও পরিবেশের অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এটি রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেও চলতে পারে। বিভিন্ন কোম্পানি এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। সেই সাথে পুলিশ, এমনকি সামরিক বাহিনীরও দৃষ্টি কাড়ছে এটি। ডয়েচে ভেলে।

 


আরো সংবাদ



premium cement