একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ১৫
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৫
সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। খুলনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরেছে তিনজনের। ডুমুরিয়ায় বাসের ধাক্কায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামের পটিয়ায় ৫ মাসের শিশুকে পিষে দিয়েছে একটি ট্রাক। লালমনিরহাটে প্রাণ গেছে এক বিক্রয় প্রতিনিধির। নওগাঁর রানীনগরে অটোভ্যানের সাথে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু মারা গেছেন। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুই ভাই-বোনের প্রাণ কেড়ে নিলো একটি বাস। রংপুরে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে নিহত হয়েছেন এক কলেজ শিক্ষক।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ছয়জন। গুরুতর আহত দুইজনকে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সন্ধ্যায় অটোভ্যানযোগে বেলকুচি উপজেলার মাইঝাইল গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে পরিবার নিয়ে দাওয়াতে যাওয়ার সময় গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মুলিবাড়ী ওভারব্রিজের কাছে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও বোনসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই পরিবারের দু’জনসহ আরো চারজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার পূর্ব বাঐতারা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫), নিহত শফিকুলের স্ত্রী সুমনা খাতুন (৩৮) ও শফিকুলের বোন লাকী খাতুন (২৭)।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি মো: আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতরা হলেন, শফিকুলের মা রঙ্গীলা খাতুন, একই গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ভ্যানচালক নুর ইসলাম, রফিকুল ইসলামের মেয়ে জোবাইয়দা খাতুন। জোবাইয়াদার মেয়ে রাইসা খাতুন (৩)।
অপর দিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ-মুলিবাড়ি সড়কে রাস্তা পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেল ধাক্কায় দুই শিশু গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত দুই শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে নগরীর আড়াংঘাটা থানা এলাকায় এবং শুক্রবার বিকেলে ফুলতলা এলাকায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নগরীর আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মিত্র জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হবার সময় আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাসে এবং খুলনা থেকে আফিলগেটগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে পরপর সজোরে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী পুষ্পেনের মৃত্যু হয় এবং উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সৌরভ মণ্ডলের মৃত্যু হয়।
অপর দিকে, ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান জানান, শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা চৌদ্দমাইল এলাকায় প্রাইভেটকার ও সিএনজির মধ্যে সংঘর্ষে হাফিজুর রহমান নামে একজন নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় আহত হন অন্তত ৭ জন। নিহত হাফিজ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার আনসার আলী আকনের ছেলে।
ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ডুমুরিয়ার দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরীর আড়াংঘাটা থানা এলাকার লতার বাইপাস মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ডুমুরিয়া উপজেলার পশ্চিমবিল পাবলা এলাকার নির্মল সেনের ছেলে পুষ্পেন সেন ও প্রভাস মণ্ডলের ছেলে সৌরভ মণ্ডল।
জানা যায়; রাত পৌনে ১০টার দিকে দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। ওই ধাক্কা খেয়ে তারা আবার খুলনা থেকে আফিলগেটগামী একটি পিকআপের সাথে সজোরে ধাক্কা খায়। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী পুষ্পেনের মৃত্যু হয় এবং সৌরভ মণ্ডলকে স্থানীরা চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তাদের দুইজনের মরদেহ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন আড়ংঘাটা থানার ওসি প্রদীপ কুমার মিত্র।
পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের পটিয়ায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে মো: আহিল(৫ মাস) নামে এক শিশু মিনি ট্রাক চাপায় মা ও বাবার চোখের সামনেই নিহত হয়।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় পটিয়া পৌর সদরে পটিয়া আল জামিয়া আল ইসলামিয়ার (পটিয়া মাদরাসার) সামনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জানা গেছে,ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশা করে মা জান্নাতুল ফেরদৌস ও বাবা মো: জুবায়ের ও বড় ছেলে মো: আয়াত (৭)সহ অসুস্থ শিশু আহিলকে নিয়ে পটিয়া হাসপাতালে নেয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মিনি ট্রাক রিকশাটিকে ধাক্কা দিলে শিশু আহিল মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই মা ও বাবা ও বড় ভাইয়ের সামনে মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়। হতাহতরা সবাই পৌর সদরস্থ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজুর রহমান সওদাগর বাড়ির বাসিন্দা।
পটিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আবু জায়েদ মো: নাজমুন নুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ওই ঘটনায় মিনি ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় ট্রাক চাপায় মো: সোহেল রানা নামে এক বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সূচনা সিনেমা হল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল লালমনিরহাট জেলা শহরের কলেজবাজার এলাকার শমসের আলীর ছেলে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, পোলার আইসক্রিম বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত মো: সোহেল পেশাগত কাজের উদ্দেশ্যে হাতিবান্ধা উপজেলা শহর থেকে বড়খাতার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে আসা পাথরবাহী একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী সোহেল নিহত হন। নিহতের চাচাতো ভাই রিপন জানান, হাতিবান্ধা উপজেলায় জীবিকার তাগিদে আইসক্রিম কোম্পানিতে চাকরি করতেন সোহেল।
রানীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা জানান, নওগাঁর রানীনগরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে এমদাদুল হক (২০) ও জিহাদ হোসেন (২০) নামে দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে রানীনগর-আবাদপুকুর সড়কের সোনাকানিয়া ব্রিজের অদূরে অটো চার্জার ভ্যানের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধু নিহত হন। নিহত এমদাদুল উপজেলার লোহাচুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে এবং জিহাদ একই উপজেলার উত্তর বড়গাছা গ্রামের জমির উদ্দীনের ছেলে।
রানীনগর থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, অটো চার্জার ভ্যানের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) সংবাদদাতা জানান, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের দুই ভাইবোন ঘটনাস্থলে নিহত এবং একই পরিবারের অপর ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন বলইবুনিয়া ইউনিয়নের দোনা গ্রামের ইজিবাইক চালক মজলু মোল্লা (৪৫) ও তার বোন সুমি বেগম (৩৬)। আহত হয়েছেন নিহত সুমি বেগমের স্বামী সিয়াম খান (৩৫), ৩ মাস বয়সী শিশু মিলি আক্তার ও নিহত মজলু মোল্লার স্ত্রী ঝুমুর বেগম (৪০)।
গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় শরণখোলা থেকে ঢাকাগামী জিএমএস পরিবহনের গাড়িটি বিপরীতমুখী একটি ইজিবাইককে চাপা দিলে ইজিবাইকের যাত্রীরা হতাহত হন। জানা গেছে, নিহতের পরিবার ছোট বোনের শ্বশুরবাড়ি পাশের উপজেলা শরণখোলায় নিজস্ব ইজিবাইকে করে বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
রংপুর ব্যুরো জানায়, সন্তানদের দেখে বাড়ি ফেরার পথে মারা গেলেন মোটরসাইকেল চালক পিতা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা। গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুরের বদরগঞ্জ এর খোলাহাটি ক্যান্টনমেন্টের সামনের মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রংপুরের বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান জানান, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে আবাসিকে থাকা সন্তানদের দেখে লালমনিরহাট-এর কালীগঞ্জের বাড়িতে মোটরসাইকেলযোগে ফিরছিলেন কলেজ শিক্ষক খালেকুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী রওশন আরা। পথিমধ্যে খোলাহাটি ক্যান্টনমেন্ট মোড়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কলেজ শিক্ষক খালেকুল। তিনি লালমনিরহাট-এর কালীগঞ্জের শামসুদ্দিন কমরউদ্দিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রওশনারা বেগম। তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। গুরুতর অবস্থায় তিনি এখন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাদের দুই সন্তান। দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের একটি আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তাদের সন্তানের প্রতি শুক্রবার মোটরসাইকেলে সন্তানদের দেখতে যেতেন তারা।
রংপুরে ৭টি গাড়ি ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে : আহত ২২
ঘন কুয়াশা এবং বেপরোয়া গতির সাথে ওভার টেকিংয়ের কারণে রংপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে সাতটি বাস ও ট্রাক দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। প্রায় ২৫ জন আহত হলেও আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছেন ৪টি বাসের দেড় শতাধিক যাত্রী। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, চালকদের কোনোভাবেই গতিসীমা মানানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে রাত এবং ভোরে এই গতি বাড়ে আরো বেশি। রাতেও আইন মানাতে আইনের প্রয়োগের চিন্তাভাবনা করছে হাইওয়ে পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে রংপুর এবং মিঠাপুকুর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এদের মধ্যে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন ভর্তি আছেন। তবে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। চারটি বাসে অন্তত দেড় শতাধিক যাত্রী ছিলেন।
ভিআইপি গাড়ির হেলপার আমিরুল ইসলাম জানান, ‘ঘন কুয়াশার কারণে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এই পাশে একটা পিকআপ জমানো ছিল। আমরা যখন আমাদের গাড়িটা জমাতে (থামাতে) যাই। ব্রেক করতে করতেই আমাদেরটা পিকআপের সাথে লেগে যায়। তখন আমরা গাড়ি থেকে নামি। নামার পর পরই একটার পর একটা গাড়ি আসতে ছিল। আর মারতে ছিল। আমাদের গাড়ির পেছনে শ্যামলী, তার পর তয়েজ, তার পর একটা কাভার্ড ভ্যান, তার পর জ্যাক, তার পর কর্ণফুলী গাড়ি এসে ধাক্কা লাগে। অনেক লোক আহত হয়। কেউ মারা যায়নি। ‘
ঘটনাস্থলে উপস্থিত, রংপুর জেলা পুলিশের সড়ক ও যানবাহন বিভাগের পরিদর্শক পরাগ রঞ্জন দেব জানান, আমরা রেকার নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। গাড়িগুলো খুব দ্রুত গতিতে অপসারণ করি ও লেনে যাতায়াত স্বাভাবিক করি। ঘন কুয়াশার কারণে গাড়িগুলো একে অপরকে দেখতে পারেনি। মাছের গাড়ি থেকে পানি পড়ে যাওয়ার কারণে রাস্তাটা পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল। ফলে গাড়িগুলো পর পর ধাক্কা লাগে। এটা অনেক বড় দুর্ঘটনা। তবে কেউ নিহত হয়নি। আহতের চিকিৎসা চলছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত সাত দিন থেকে উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহ বইছে। কিন্তু যানবাহন তার পরেও চলছে উচ্চ গতিতে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দুর্ঘটনা আরো বাড়বে। এ ছাড়া আরো বেশ কয়েক দিন এই আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।