প্রাণী হত্যাকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৩
বিপন্ন প্রাণী রক্ষায় নিষ্ঠুরতা বন্ধ করতে হবে মন্তব্য করে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রাণী হত্যাকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মেছো বিড়াল সংরক্ষণ শুধু প্রাণী অধিকার নয়, এটি পরিবেশ রক্ষার জন্যও জরুরি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণীর ভূমিকা আছে। তাই তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। শুধু মুরগি খাওয়ার অভিযোগে মেছো বিড়াল মারা অন্যায়। এটি হত্যা, এভাবে চলতে থাকলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়বে। তাই জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
গতকাল বন অধিদফতরে বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, জেলা প্রশাসকরা মেছো বিড়াল রক্ষায় সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে। তবে প্রকৃতিপ্রেমীদের সম্পৃক্ত করাই বেশি কার্যকর হবে।
তার ভাষ্য, গণমাধ্যমে মেছো বিড়ালের পরিবেশগত গুরুত্বও তুলে ধরতে হবে। জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শুধু মেছো বিড়াল নয়, সব বিপন্ন প্রাণী রক্ষায় নিষ্ঠুরতা বন্ধ করতে হবে। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আইনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। প্রকৃতির প্রতি দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে। কার্যকর বনায়ন পরিকল্পনা নিলে সঙ্কট কাটানো সম্ভব।
প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম মনিরুল এইচ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো: ফজলে রাব্বী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পোস্টার ডিজাইন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মেছো বিড়াল সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।