০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ২ শাবান ১৪৪৬
`
হেলথ টিপস

পেঁয়াজপাতার গুণাগুণ

-

পেঁয়াজের পাতা অনেক ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। তরকারিতে পেঁয়াজের পাতা মিশিয়ে দিলে স্বাদ অনেকটা বাড়ে। সবজি হিসেবে এর কদরও আছে। চায়নিজসহ উপমহাদেশীয় খাবারে পেঁয়াজের পাতা বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।
সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে
পেঁয়াজপাতার খনিজ উপাদান সালফার ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ভিটামিন ‘কে’ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রক্ত সংবহনের উন্নতি করে এবং শরীরে ভিটামিন ‘বি১’-এর শোষণের মাধ্যমে চাপ ও ক্লান্তি কমায়। শরীরের কলার প্রদাহ থেকে রক্ষা করে পেঁয়াজপাতার ভিটামিন ‘সি’।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
পেঁয়াজপাতায় আছে ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘বি১২’ এবং থায়ামিন। কোয়ারসেটিন নামের ফ্ল্যাভোনয়েডের উৎস এই পেঁয়াজপাতা। পেঁয়াজপাতার ভিটামিন ু‘সি’ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের উচ্চমাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়
লুটেইন ও জিয়াজেনথিন নামের ক্যারোটিনয়েডের উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজপাতা চোখের প্রতিরক্ষায় ভূমিকা রাখে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন ‘এ’, যা বসন্তকালের পেঁয়াজের সবুজ অংশে থাকে।

কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ক্যান্সার প্রিভেনশনে বলা হয়েছে, যারা নিয়মিত পেঁয়াজপাতা খান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কম। সবুজ পেঁয়াজের পাতায় সালফার, যাতে অ্যালাইল সালফাইড থাকে, তা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ক্যান্সাররোধী উপাদান ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে।
শ্বাসযন্ত্র ভালো থাকে
অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজপাতা সাধারণ ঠাণ্ডা, ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পেঁয়াজপাতা শ্বাসযন্ত্রের কাজকে উদ্দীপিত করা এবং কফ বের করে দিতে সাহায্য করে।
প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে
পেঁয়াজকলিতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাকস্থলি, অন্ত্র এবং মূত্র প্রদাহ রোধে কাজ করে।
সতর্কতা : পেঁয়াজপাতা ও কলি ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে অ্যাসিডিটি, বদহজমের কারণে বুকে ব্যথাসহ নানা সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া পেঁয়াজপাতায় যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। তাই যাদের রক্তে বাড়তি পটাশিয়াম আছে, তাদের পেঁয়াজপাতা প্রয়োজনে খাওয়া বাদ দেয়াই ভালো। ভিটামিন ‘কে’-এর পরিমাণ বেশি থাকায় যাদের হার্টে ব্লক আছে ও ভিটামিন ‘কে’ জাতীয় খাবারে বিধিনিষেধ আছে, এমন রোগীদের খাদ্যতালিকায় পেঁয়াজপাতা কম রাখাই ভালো। ইন্টারনেট।

 


আরো সংবাদ



premium cement
৮ মেগা প্রকল্পের ৭৫২ কোটি ডলার লোপাট! সাঈদীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে নির্দেশনা দিয়েছিল ভারতের ‘র’! একুশের চেতনাই জুলাই বিপ্লবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে রাজউকের নিম্নবিত্ত আবাসনের ১০১১ একর ভূমির বেশির ভাগই বেদখলে স্বৈরাচারের মাথা পালালেও কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটকে নিষ্ক্রীয় করার চেষ্টা চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি দখলদারিত্বে জামায়াত কোথাও জড়িত নয় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধে বেশি ভুগবে ইউক্রেন ও ইসরাইল বাংলাদেশ কুড়িতম লিবিয়া উপকূলে ভেসে আসছে লাশ, ২০ বাংলাদেশী নিহত লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাতে সংস্কারের পরামর্শ টাস্কফোর্সের ভাষা আন্দোলনের ঘোষণাপত্র প্রকাশ

সকল