হিলি স্থলবন্দরে ৬ মাসে রাজস্ব আয় ৪৪ কোটি টাকা কম
- বাসস
- ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৬
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৩১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা কম। এ সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানির কারণে রাজস্ব আদায়ে এই ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হিলি বন্দর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে ৭৪০ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম ছয় মাস শুল্কমুক্ত পেঁয়াজ আলু ও চালসহ বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫ কোটি ৯ লাখ টাকা, বিপরীতে আদায় ৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, বিপরীতে আদায় ৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, বিপরীতে আদায় ৫৫ কোটি আট লাখ টাকা। অক্টোবরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, বিপরীতে আদায় ৭৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। নভেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা, বিপরীতে আদায় ৪৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকা, বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাজস্ব ঘাটতির মূল কারণ এই বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, যেমন চাল-ডাল, খৈল, ভুসি, ভুট্টা ও পেঁয়াজসহ অধিকাংশই শুল্কমুক্ত। সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় চাল। এতে যে শুল্ক ছিল সরকার সেটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ কারণে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা