চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা ফের সচিবালয়ের সামনে

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা অভিযোগে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ফের ফের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল দুপুরে পদযাত্রা নিয়ে সচিবালয়ের সামনে গেলে সেখানে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে তাদের পাঁচজন দাবি-দাওয়া নিয়ে উপদেষ্টার সাথে কথা বলার জন্য সচিবালয়ের ভেতরে ঢোকেন। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে তারা সচিবালয়ের ভেতরে যান। কিন্তু তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পায়নি আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা। পরে বেলা ৩টার দিকে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয় থেকে বের হয়ে আগামী রোববার আবারো সচিবালয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা পদযাত্রা বের করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ পরিবারের প্রায় দুই হাজার সদস্য এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে তারা এই আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে অংশ নেয়া কয়েকজন বলেন, আমরা গত ছয় মাস ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। যখন শুরুতে আন্দোলন করেছিলাম তখন আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করেছি এবং আমাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছি। পরে আমরা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে দেখা করি। তিনি আমাদের কাগজপত্র দেখেন এবং বলেন যে আমাদের দাবি যৌক্তিক এবং আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া হবে। তিনি তখন বলেছেন, আন্দোলনরতদের মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া হবে। উনার সে আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করি। কিন্তু একে একে দিন পার হতে থাকে আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। তাই আমরা আবারো আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন স্থগিত করব না।
তারা বলেন, আমাদের আশ্বাস দিয়ে এখন চাকরি ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না। যারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল তারা অন্যায় করেছেন এবং আইন ভঙ্গ করেছেন। বিগত সরকারের আমলে পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তারা তো এখন ঠিকই চাকরি ফিরে পেয়েছেন এবং চাকরি করছেন। বর্তমান আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার বাধ্যতামূলক অবসরে ছিলেন। কিন্তু পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার চাকরি করছেন। তাহলে আমরা কেন চাকরি করতে পারব না?