সম্পর্ক উন্নয়নে অবদানের জন্য সৌদি রাষ্ট্রদূতকে সম্মাননা
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩০
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসা আল-দুহাইলানকে ‘বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সেলেন্স’ ২০২৩ সম্মাননা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন। এর আগে ২০২১ সালের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত এবং ২০২২ সালের জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূতকে সম্মাননা দেয়া হয়েছিল। আগের দু’টি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দু’জন কূটনীতিককে সম্মাননা জানানো হলেও এবার ছিল ব্যতিক্রম। অর্থাৎ কোনো বাংলাদেশী কূটনীতিককে সম্মাননা দেয়া হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সেলেন্স সম্মাননা চালু করে।
রাষ্ট্রদূত আল-দুহাইলানের ভূমিকা মূল্যায়ন করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তার সময়ে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্কের অতুলনীয় উন্নতি হয়েছে। দু’দেশের বহুমুখী সম্পর্ককে সম্প্রসারিত ও মজবুত করার ক্ষেত্রে তার সক্রিয় ভূমিকা ও প্রতিশ্রুতি ছিল উল্লেখযোগ্য। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের সহযোগিতা বহুবিধ ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে সৌদি আরব বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অংশীদারে পরিণত হয়েছে।
করোনা মহামারীর সময় সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য রাষ্ট্রদূত আল-দুহাইলানের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সৌদি আরবে কাজ করা ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশী সেখানকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে। এই পরস্পরনির্ভরশীলতা আমাদের দু’দেশের মধ্যে জোরালো ও ক্রমবর্ধমান সংযোগের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে সৌদি আরব আমাদের অবিচল বন্ধু ও বিশ্বস্ত অংশীদারে পরিণত হয়েছে। এ বছর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের সহযোগিতা উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে অভিন্ন লক্ষ্যে প্রতি সমর্থন উভয়ের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ উপকার বয়ে আনছে। আমরা জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। উভয় দেশই বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির পক্ষে সমর্থন জানানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকেছে। আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছি।
বাংলাদেশ মেডেল ফর ডিপ্লোম্যাটিক এক্সিলেন্স দেয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত ঈসা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ এখানকার রাষ্ট্রদূতদের কাজে আরো উৎসাহিত করবে। এটা শুধু আমার অর্জন নয়, আমার মিশনের সব কর্মকর্তাদের পরিশ্রমের ফসল। তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব পালনকালে গত পাঁচ বছরে সৌদি-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যার মধ্যে উভয় দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০টিরও বেশি উচ্চ পর্যায়ের সফরসহ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন লক্ষ্য করা গেছে। আমরা হজ ও ওমরার জন্য ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশন সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছি। এর মধ্যে রয়েছে নুসুক ও মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ- যা বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য হজ প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য এই বছর বাস্তবায়তি হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত তিন বছরে সৌদি দূতাবাস ২২ লাখেরও বেশি কর্মী-ভিসা দিয়েছে। এটি সৌদি আরবে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করেছে।
রাষ্ট্রদূত আল-দুহাইলান এই পুরস্কার সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ, দেশটির ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ ও নিজ পরিবারের প্রতি উৎসর্গ করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা