৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ২৯ রজব ১৪৪৬
`
শ্রম উপদেষ্টার তথ্য

বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুরের শেয়ার বেচে কর্মীদের পাওনা শোধ হবে

-

বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকের বন্ধকি শেয়ার বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটির ১৬ কোম্পানির কর্মীদের দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হবে। আগামী রোববার থেকে এই বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকের বন্ধক রাখা শেয়ার বিক্রি করে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৬ কোম্পানির কর্মীদের দেনা-পাওনা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ নিবে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা বলেন, কর্মীদের বেতন ও অন্য পাওনা বাবদ ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা লাগতে পারে। সেটি এই শেয়ার বিক্রি করে তোলা হবে।
বেক্সিমকোর টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল খাতের ১৬ কোম্পানি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২৮ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা কিভাবে ঋণ নিয়েছে তার তদন্ত করা হবে। সন্দেহ করা হচ্ছে উপযুক্ত জামানত ছাড়াই এই ঋণ নেয়া হয়েছে। এই তদন্তও ফেব্রুয়ারিতে শেষ করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি জানান, বেক্সিমকো লিমিটেডের নামে সোনালী ব্যাংকে ১ হাজার ৪২৪ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে ৪২০ কোটি, রূপালী ব্যাংকে ৯৮৭ কোটি, জনতা ব্যাংকে ২৩ হাজার ২৮৫ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংকে ৩১৫ কোটি, ইউসিবি ব্যাংকের ৩৩৩ কোটি, এবি ব্যাংককে ৯৩৮ কোটি, এক্সিম ব্যাংকে ৪৯৭ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে ৬১ কোটি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে ৯৪ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংকের ৭৮ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএফএফএলে ৮৭ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, সম্পূর্ণ টাকা বেক্সিমকো টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেডের ঋণ। মোট হচ্ছে ২৮ হাজার ৫৪৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগেই বলেছি ১৬টি অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এসব ঋণ ব্যাড ঋণ (খেলাপি ঋণ) কি না তা আমরা ব্যাংকের কাছে জিজ্ঞাসা করব। এই সমস্ত ব্যাংকের একটা খতিয়ান বা ইনকোয়ারি করা হবে। বিশেষ করে এই টাকাগুলো কিভাবে নেয়া হয়েছে। আমরা যা দেখতে পারছি, চর্মচক্ষে মনে হয় ব্যাংকে আমাদের যে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি) তার থেকে বড় কেলেঙ্কারি। এই টাকা আমাদের টাকা, আপনাদের টাকা, ট্যাক্সের টাকা ব্যাংকে রেখেছে লোকজন। সেখান থেকে এটা উজাড় হয়েছে।

তিনি জানান, কী কী ডকুমেন্টের বিপরীতে ঋণ দিয়েছে সে বিষয়ে ফেব্রুয়ারির মধ্যে অডিট করে বিভাগীয় এবং আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে। আগামী রোববার সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, অর্থ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সভা করে বেক্সিমকো ফার্মা এবং সাইনপুকুর সিরামিক্সের বন্ধককৃত শেয়ার বিক্রির ব্যবস্থা করবে। অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। অর্থ বিভাগ থেকে আমরা যে টাকাটা পাব শ্রমিকদের গ্রাচুয়িটি সার্ভিস বেনিফিটসহ আইনে যা যা আছে তা পরিশোধ করা হবে। বেক্সিমকোর দু-একটি প্রতিষ্ঠান চালু আছে, সেগুলো পরে বিক্রি করা যায় কি না অন্যরা তা দেখবে।
এইসব ঋণে অনিয়ম হয়ে থাকলে তার সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে জানিয়ে সাখাওয়াত বলেন, জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পাশাপাশি বেক্সিমকো লিমিটেডে নিয়োগ করা রিসিভারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ উপদেষ্টা পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করেননি অথবা কোনো গুরুত্ব দেননি।
বেক্সিমকো পার্কে অবস্থিত কারখানাগুলোকে নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ এ নিয়ে আর কোনো বৈঠক করবে না বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
টাঙ্গাইল বার সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল জয়ী দেশের সবচেয়ে ‘ধনী’ এলাকা ঢাকার পল্টন চাঁদ দেখা যায়নি, ১৪ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিকল্পনা মার্কিন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর’ দারিদ্র্য বেশি বরিশাল বিভাগে তামাবিল স্থলবন্দরে দুদকের অভিযান : মাসে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি বাণিজ্য মেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২৬ কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযানে ৩৩ লাখ টাকার আতশবাজি আটক ছাত্ররা কেন দল গঠন করবে, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা রংপুরে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ গ্রেফতার সাংবাদিক সন্তানদের বৃত্তি প্রদান সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ : উপদেষ্টা নাহিদ

সকল