বড়পুকুরিয়া খনির নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু
- বাসস
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪২
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির নতুন ১৩০৫ নম্বর ফেইজ থেকে নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগেই কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে।
দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক খান মো: জাফর সাদিক গত শনিবার মধ্য রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার রাত ১২টা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়।
বড়পুকুরিয়া খনির সূত্রটি জানায়, উত্তোলন যোগ্য কয়লা খনিটির উৎপাদনশীল ১৪১৪ কোল ফেইজের মজুদ শেষ হওয়ায় গত বছর ৩০ নভেম্বর কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেন, নতুন কয়লা ফেইজ উন্নয়ন কাজ শেষ করে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা যাবে। তবে যন্ত্রপাতি স্থাপন করে নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগেই আবার নতুন ১৩০৫ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলো।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক খান মো: জাফর সাদিক বাসসকে বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩০৫ ফেইজ থেকে গত শনিবার মধ্য রাতে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরুর প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে দৈনিক দেড় থেকে ২ হাজার টন এবং পরবর্তীতে দৈনিক ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
জাফর সাদিক আরো জানান, ১৪১৪ ফেইজের কয়লা উত্তোলন শেষে সব ইক্যুইপমেন্ট স্যালভেজ, যথাযথভাবে মেইনটেন্যান্স করণ এবং সব ইক্যুইপমেন্ট ১৩০৫ ফেইজে ইন্সটলেশন শেষে ৪৫ দিন পর এ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। এই ফেইজের কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। যা আগামী জুন ২০২৫ পর্যন্ত খনি থেকে কয়লা উত্তোলিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উত্তোলিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু ইরি ও বোরো চাষের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। ধানের জমিতে সেচ কাজের জন্য এই সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কয়লার মজুদ ঠিক রাখতে দ্রুত সময়ের মধ্যে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়েছে।
তিনি জানান, ১৩০৫ ফেইজের পূর্বে ১৪১৪ ফেজ থেকে গত ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কয়লা উত্তোলন শেষ হয়। ১৪১৪ ফেজ হতে ৩ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ৪ লাখ ৮১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা অতিরিক্ত শতকরা ২২ ভাগ কয়লা বেশি উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা