জুলাই-আগস্টের সমস্ত শক্তিকে একসাথে কাজে লাগাতে হবে : আদিলুর রহমান খান
- মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪১
শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ৫ আগস্ট শক্তির মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। এটা হতে দেয়া যাবে না। আগস্টের সমস্ত শক্তিকে একসাথে থাকতে হবে। যেন ফ্যাসিবাদ কখনো ফিরে আসতে না পারে। যেন অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশে আগ্রাসন চালানোর সুযোগ না পায়। সাহস না পায়।
গতকাল রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান।
বাংলাদেশ যে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ছিল। সেই প্রতিরোধ সারা পৃথিবীর কাছে একটা শিক্ষণীয় ব্যাপার হয়ে আছে। সারা পৃথিবীর তরুণরা যখন সংগ্রাম করবে তখন বাংলাদেশের তরুণদের মতো করবে। এর আগে এই উপদেষ্টাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন শহীদ পরিবার ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা।
এদিন মতবিনিময় সভায় সরকারি হরগঙ্গা কলেজের শিক্ষার্থী ও জুলাই আগস্টে মুন্সীগঞ্জের আন্দোলনে অংশ নেয়া আদৃতা ইসলাম উপদেষ্টা ও প্রশাসনের কাছে জানতে চান, অভ্যুত্থানে তাদের ওপরে যে সব আ’লীগের নেতাকর্মী হামলা চালিয়েছিল। নির্বিশেষে মানুষকে হতাহত করেছিল। সেই ফ্যাসিস্টদের আদৌকি আইনের আওতায় আনা হচ্ছে কি না, যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারা কিভাবে জামিন পেয়ে যাচ্ছে। কারা কিভাবে মামলা বাণিজ্য করছে, যে সব পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা করা হয়েছিল, তাদেরকে কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। এসব বিষয় দেখতে হবে।
হতাহতের পরিবারদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, অভ্যুত্থানের প্রায় ছয় মাস হয়ে গেছে। হতাহতের পরিবারের অসংখ্য প্রশ্ন, তাদের যে আকাক্সক্ষা অবাস্তবায়িত অবস্থায় আছে, তাদের সন্তানদের যে আত্মত্যাগ এখনো তা জলন্ত।
৮ তারিখ যে সরকার শপথ নিয়েছে, এ সরকারের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। কিভাবে চেষ্টা করছি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে দায়িত্ব নিয়েছে। এই জুলাইয়ের যোদ্ধাদের একইভাবে দায়িত্ব নিবেন। সেটার অধিদফতরও প্রায় তৈরি হয়ে গেছে। নিহতদের পরিবারদের যেন সাপোর্ট দেয়া যায়, আহতদের যেন পুনর্বাসন করা যায় সে কাজগুলো হচ্ছে, তবে একটু ধীরগতিতে হচ্ছে।
আর সবচেয়ে বড় জিনিসটা হচ্ছে, যারা অপরাধী, তাদের বিচারের প্রশ্নটা। বিচার তড়িঘড়ি করে হলে সঠিক হয় না, আবার দীর্ঘসূত্রিতাতেও বিচার হয় না, ওইটা বিচারহীনতা হয়ে যায়। আমরা সচেতন আছি, যেন বিচার সঠিকভাবে হয় এবং অপরাধীরা ধরা পড়ে। যে সব অপরাধীরা পালিয়ে গেছে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। আর যারা দেশে লুকিয়ে আছে তাদের ধরার জন্য চেষ্টা হচ্ছে।
এদিন মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ্র। এদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুন্সীগঞ্জে নিহত ১৬টি পরিবারের হাতে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা