২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১, ২৭ রজব ১৪৪৬
`

পুনর্গঠিত ব্যাংকের গ্রাহকরা বিপাকে

পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা যাচ্ছে না
-


এস আলমের কাছ থেকে দখলমুক্ত হওয়া পুনর্গঠিত ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা বিপাকে পড়ে গেছেন। ব্যাংকগুলোর দুরবস্থার কারণে গ্রাহকদের চলমান ব্যবসার জন্য কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খুলতে পারছে না। এলসি খুলতে না পারায় কারখানার উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পথে। এমতাবস্থায় ব্যাংকেরও টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না তারা। এতে অনেকেই খেলাপি হয়ে যাচ্ছেন। আবার খেলাপি হলে অন্য ব্যাংক থেকেও ঋণসুবিধা নিতে পারছে না। সবমিলেই ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, এস আলম, নাসার নজরুল ইসলাম মজুমদার ও সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা ব্যাংকগুলোর সংগৃহীত আমানত থেকে বেশির ভাগ অংশই তারা নামে-বেনামে বের করে নিয়েছে। বিশেষ করে দেশের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো থেকে নেয়া হয়েছে বেশি অর্থ। এর ফলে ৫ আগস্টের পর দেশের পট পরিবর্তনের ফলে এসব ব্যাংক লুটেরাদের কাছ থেকে দখল মুক্ত হলেও ব্যাংকগুলো থেকে বের করে নেয়া কয়েক লাখ কোটি টাকা উদ্ধার করা যায়নি। এর ফলে এসব ব্যাংক চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে। ব্যাংকগুলো থেকে টাকা লুটপাটের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ আমানতকারীও আতঙ্কের মধ্যে পড়ে গেছেন। তারা প্রতিনিয়তই ব্যাংক থেকে তাদের সঞ্চিত টাকা উত্তোলন করতে আসছেন। কিন্তু ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। এর অন্যতম কারণ হলো ব্যাংক লুটেরাদের লুণ্ঠনকৃত অর্থ ফেরত আনতে পারছে না। পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংক বাদে আমানতকারীরাও তাদের ব্যাংকগুলোতে আর ডিপোজিট রাখছেন না। ফলে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়ে গেছে ব্যাংকগুলো। এর ফলে অনেক ব্যাংক রেমিট্যান্সও আহরণ করতে পারছে না। টাকার সঙ্কটের পাশাপাশি ডলারেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ কারণে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণের জোগান দেয়া যাচ্ছে না। এতে গ্রাহকদের ব্যবসা-বাণিজ্যেও স্থবিরতা নেমে এসেছে।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায়ের বিষয়ে পুনর্গঠিত একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, যারা ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে অর্থ লুট করেছে তাদের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ব্যাংকের অনুকূলে এনে তা বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছুটা তারল্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। গ্রাহকের আস্থা ফেরানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তা অব্যাহত রাখা হলে টাকা উত্তোলনের হার কমে যাবে; বিপরীতে আমানতও ফিরে আসবে। এতে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা আবার ফিরে আসবে।
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগের চেয়ে ব্যাংকটির অবস্থা কিছুটা ভালো হচ্ছে। এখন গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী এলসি খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমানতও কিছুটা ফিরে আসছে। কমে এসেছে আমানত প্রত্যাহারের চাপ। তিনি জানান, আর দুই-তিন মাসের মধ্যে ব্যাংকটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। যারা টাকা লুণ্ঠন করেছে বিশেষ করে এস আলমের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এস আলমের সম্পদ জব্দের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে পারছেন না। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই খেলাপি হয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ ব্যবসায়ীরা টিকতে না পারলে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ভেঙে পড়বে। এর প্রভাব সার্বিক অর্থনীতিতে পড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিক হত্যায় শ্রমিকলীগের ২ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সংস্কারে সমর্থন ইইউ’র প্রথম ধাপে মালয়েশিয়া যাবেন ৭ হাজার ৯৬৪ বাংলাদেশী কর্মী ঢাবি আরবি বিভাগের দু’জন শিক্ষকের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত কেন অবৈধ হবে না : হাইকোর্ট ডেঙ্গুতে আরো ১ জনের মৃত্যু হামাসের কাছে থাকা পণবন্দীদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে অশউইৎজের ৮০ বছর পূর্তি : বেঁচে ফেরা ব্যক্তি ও বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণ মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে ডিইআই বাতিলের আদেশ জারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উইকেটে তাসকিনের ২৫ সমালোচনার পাহাড় নিয়েও টানা তৃতীয় জয় রাজশাহীর কেরানীগঞ্জে সবজির বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের

সকল