২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৫ রজব ১৪৪৬
`

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ৬০ ভাগ ইসরাইলি

-

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলা এবং নাগরিকদের যথাযথ থনিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ৬২ শতাংশ ইসরাইলি। দেশটির দৈনিক মারিভ পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। জরিপে অংশ নেয়া ইসরাইলিদের মধ্যে ৬২ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান, ২৯ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তারা প্রধানমন্ত্রীর পদে নেতানিয়াহুকেই দেখতে চান এবং ১৯ শতাংশ কোনো মন্তব্য করেননি।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন লিকুদ পার্টির সমর্থকদের পাশাপাশি ইসরাইলের বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোট সরকারভুক্ত দলগুলো এবং বিরোধী দলগুলোর সমর্থকরা ছিলেন। মারিভের জরিপে জানা গেছে, লিকুদ পার্টির ১৮ শতাংশ সমর্থকই নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার দায়ে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দেখতে চান। বিরোধী দল এবং সরকারি জোটভুক্ত দলগুলোর সমর্থকদের মধ্যে এই হার যথাক্রমে ৯৩ শতাংশ এবং ৩১ শতাংশ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা। ভয়াবহ সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন এক হাজার ২০০ জন এবং এর পাশাপাশি ২৫০ জনকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল হামাস। বস্তুত ইসরাইলের ইতিহাসে এর আগে এত বড় হামলা ঘটেনি।

হামলার পর গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। টানা ১৫ মাস ধরে চালানো সেই নিষ্ঠুর অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের ব্যাপক চেষ্টায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়। জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থায় গাফিলতির জন্য ৭ অক্টোবরের হামলার পরই সমালোচনা শুরু হয়েছিল নেতানিয়াহুর। তিনি অবশ্য অস্বীকার এ ঘটনার দায়দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন এবং দোষ চাপিয়েছেন সামরিক বাহিনীর ওপর।
গাজায় ইসরাইলি বন্দী এবং ইসরাইলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তির জন্য রোববার থেকে যে তিন পর্বের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়, তা সফল হবে বলে বিশ্বাস করেন জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে মাত্র ২৮ শতাংশ। ৩৯ শতাংশ নিশ্চিত যে, এই যুদ্ধবিরতি টিকবে না এবং এ বিরতির সফল হবে কি না-সে সম্পর্কে সন্দিহান ৩৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।
জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে আরো জানা গেছে যে, যদি এখনই নির্বাচন হয় ইসরাইলে, তাহলে সেখানকার পার্লামেন্ট নেসেটের ১২০টি আসনের মধ্যে ৫৯টি আসন পাবে বিরোধী দলীয় জোট; অন্য দিকে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সর্বোচ্চ ৫০টি আসনে বিজয়ী হতে পারে। আর আরব পার্টিগুলো পাবে ১০টি আসন।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল