২০২৪ সালে বাংলাদেশী সাড়ে ৩ কোটি শিশুর পড়াশোনা বিঘি্নত
ইউনিসেফের তথ্য- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৯
চরম আবহাওয়ার প্রভাবে ২০২৪ সালে সাড়ে তিন কোটি বাংলাদেশী শিশুর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ৮৫টি দেশের তথ্য হালনাগাদ করে সংস্থাটি জানিয়েছে, চরম আবহাওয়ার ফলে গত বছর সারা বিশ্বে স্কুলগামী প্রায় ২৪ কোটি ২০ লাখ শিশুর পড়াশোনা বিঘিœত হয়েছে। যার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাংলাদেশী শিশুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। বার্তা সংস্থা এএফপিকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিয়ো নিউজ। এতে বলা হয়, বিশ্বের স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের প্রতি সাতজনে একজনের পড়াশোনা বিঘিœত হয়েছে। আগামী বছর এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু সঙ্কটের ফলে স্কুলগামী শিশুদের পড়াশোনায় বিঘœ ঘটা উপেক্ষিত বিষয়ের একটি। ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত তাপপ্রাবহ। যার ফলে স্কুলগামী শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল সতর্ক করে বলেন, চরম আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে শিশুরা।
বিশেষ করে যেসব শ্রেণিকক্ষে প্রচণ্ড গরমে কোনো স্বস্তির ব্যবস্থা নেই সেখানে শিশুদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে মনোযোগ বিঘিœত হয়। এ ছাড়া স্কুলে যাওয়া আসার পথ বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় শিশুদের পড়ালেখায় খারাপ প্রভাব পড়ে বলেও উল্লেখ করেছেন ওই কর্মকর্তা। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনসে শুধু এপ্রিল মাসেই ১১ কোটি ৮০ লাখ শিশুসহ ওই বছর অন্তত ১৭ কোটি ১০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে ফিলিপাইনসে শিশুদের হাইপারথার্মিয়ায় (শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা, যা জ্বর বা হিট স্ট্রোকের মতো অসুস্থতা কারণ হতে পারে) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বাইরে থাকা হাজারো স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়। এমন বৈরী পরিস্থিতি সামনের সময়গুলোতে আরো বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় সামনের বছরগুলোয় ক্ষতির মুখে পড়া শিশুর সংখ্যা সম্ভবত বাড়বে। সংস্থাটি আরো বলছে, জলবায়ু ও পরিবেশগত ক্ষতির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোতে বাস করে প্রায় ১০০ কোটি শিশু, যা বিশ্বের মোট শিশুর অর্ধেক। এ ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষগুলোকে ক্ষতিপ্রতিরোধী হিসেবে তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছে ইউনিসেফ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা