আদালতের কাছে ন্যায়বিচারে প্রত্যাশা মাহমুদুর রহমানের
- বাসস
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪০
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মামলার সাজার বিরুদ্ধে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের আনা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
গতকাল ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী আদালতে এ মামলায় খালাসের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। আইন, রেফারেন্স ও অন্যান্য তথ্য প্রমাণ খালাসের পক্ষে তুলে ধরেন আইনজীবীরা।
শুনানিকালে আদালতে হাজির ছিলেন মাহমুদুর রহমান। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের উত্থানের পক্ষে বিচার বিভাগের ভূমিকা রয়েছে। এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। নতুন বিচারপতি জনগণের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রত্যাশা পূরণে সফল হয়েছেন। মানুষ এখন ন্যায়বিচার পাচ্ছেন।
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান বলেন, আশা করি, রায়ে আমি ন্যায়বিচার পাবো। কারণ ফ্যাসিবাদের পতন ও বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে। এ মামলা যখন করা হয় তখন জেলে বন্দী ছিলাম। মামলার সাথে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা নেই আমার। এই মামলায় ঘটনা দেখানো হয়েছে আমেরিকার। আমি ২০০৫ সালের পর আমেরিকা যাইনি। অথচ মামলার সময় দেখানো হচ্ছে ২০১২ সালে। ওই সময় সময় আমি আমার পত্রিকা অফিসে বন্দী ছিলাম। পত্রিকা অফিস পুলিশ, র্যাব ঘিরে রেখেছিল। এটাতে প্রমাণিত হলো একটা রাষ্ট্র কতটা নির্মম হতে পারে মিডিয়ার কণ্ঠরোধ করতে।
মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, শেখ হাসিনার বিদায় হয়েছে। ফ্যাসিবাদের সাথে আমার দেশের যে লড়াই, সম্পাদক হিসেবে আমার যে লড়াই সেটা অব্যাহত থাকবে। এই মামলাটি হয়েছিল শেখ হাসিনার পুত্রকে নিয়ে, এমন শতাধিক মামলা আমার বিরুদ্ধে আছে। শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপকে নিয়ে ৩৬টি মামলা রয়েছে। এরকম একটি মামলাতেই আমার ওপর হামলা করা হয়েছিল কুষ্টিয়ায়। আমি আল্লাহর রহমতে জীবিত আসতে পেরেছি। তবে ধরে নিচ্ছি এই যে লড়াই, যতদিন জীবিত আছি এই লড়াই চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
আমার দেশ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। যেন কোনো ফ্যাসিবাদ সরকারকে উঠতে দেয়া না হয়। জনগণকে প্রথম দিন থেকে প্রতিবাদ করা উচিত। আমরা যদি প্রথম থেকে প্রতিবাদ করলাম তাহলে ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদ সরকার দ্বারা এত জুলুম, ঘুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হতো না। এভাবে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিল্লির কাছে বিসর্জন দেয়া হতো না। জনগণের কাছে আমার আহ্বান আর কোনো ফ্যাসিবাদী সরকারকে দেশে জায়গা দিবেন না। সব ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই যেন অব্যাহত থাকে।
আইনজীবীরা জানান, ভিত্তিহীন অভিযোগে সাজা দেয়া হয়। প্রশ্নবিদ্ধ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ত্বরিতগতিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছিল। রায় ঘোষণা করা বিচারকের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন-জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুঁইয়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা