বিচার স্বচ্ছ করতে ট্রাইব্যুনালের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধিরা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৩
বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা জানতে চেয়েছেন জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধিরা। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের অফিস পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানতে চান। এ সময় ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে জাতিসঙ্ঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ দিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে কোনো জবাব এখনো ভারত দেয়নি। না দিলেও আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বিচারপ্রক্রিয়া তার নিজস্ব নিয়ম অনুসরণ করে চলবে। তিনি বলেন, আমাদের সাথে ভারতের সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে। এটার জবাব ভারত দেয়নি। বাংলাদেশ সরকার অপেক্ষায় আছে; দেখা যাক তারা জবাব দেয় কি না। না দিলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। গতকাল সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের অফিস পরিদর্শনে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস ও ঢাকায় জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান। তারা চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সাথে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, খুবই আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এ সময় জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার ও তদন্তপ্রক্রিয়া কেমন এগোচ্ছে, কী পর্যায়ে আছে, কোনো সমস্যা আছে কি না। বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, কী কী কাজ করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘের সহযোগিতা দরকার আছে কি না, এসব বিষয় নিয়ে তারা খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
আলোচনা শেষে জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধিদের কাছে প্রসিকিউশন এবং তদন্ত সংস্থাকে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় অনুরোধ জানিয়েছে বলে জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘ যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটা আমাদের জন্য সহায়ক হবে। তিনি আরো বলেন, এই বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি জাতিসঙ্ঘের সমর্থন রাখার ব্যাপারে আমরা তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। তারা আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন। তারা ইতোমধ্যে আমাদের প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ে একটি ট্রেনিং সেশন হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা অধিকতর ট্রেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করবেন জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে সে আশ্বাস দিয়েছেন। প্রযুক্তি সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিচারের ব্যাপারে আকাক্সক্ষা আছে। যে অপরাধ এখানে হয়েছে, ভিক্টিম পরিবার যাদের স্বজনদের হারিয়েছেন, প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। তাদের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। এই বিচারটা যাতে ভালোভাবে হয় সেজন্য জাতিসঙ্ঘ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানাবে, যতটুকু তাদের পক্ষে সম্ভব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা