ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে সরকারের প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কমিটির আহ্বান

গাজার মানবিক পরিস্থিতি, পশ্চিমতীরের উন্নয়ন এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিশেষ কমিটি। প্রতিবেদনে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের ফলে উল্লেখযোগ্য বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছে এবং সেখানকার বহু বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ইসরাইলের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সবকিছু করার আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমিটি। পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি জোর দাবি তুলেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমিটি। শুধু দাবিই নয়, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে কী পদক্ষেপ নেবে সরকারকে অবশ্যই তা নির্ধারণ করতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকির দিকে ইঙ্গিত করে আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি, গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এমন একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে। বিষয়টি গণহত্যার অভিযোগকে সামনে নিয়ে আসে। এ অঞ্চলে স্থায়ী ও টেকসই শান্তি অর্জনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজার মানবিক চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ৫০০ ত্রাণ ট্রাকের প্রয়োজন হয়। তবে এই সংখ্যাটি এখন গড়ে ২৫ ট্রাকে নেমে এসেছে।
ইসরাইলি বিমান হামলার পর বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার আশঙ্কাজনক দাবির বিষয়টিও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুসালেমে ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই অঞ্চলটিতে ইসরাইল একই সময়ে ফিলিস্তিনিদের এক হাজার ৮০০ স্থাপনা ধ্বংস করেছে এবং ৭৩৬ জনকে হত্যা করেছে।
প্রতিবেদনে এ সময়ের মধ্যে ইসরাইলিদের ভূমি দখলের কারণে এক হাজার ৭২২ জন ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হওয়ার তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।