১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ মাঘ ১৪৩১, ১৭ রজব ১৪৪৬
`

বাণিজ্যমেলায় উপচেপড়া ভিড়েও বিক্রি কম

দাম নিয়ে অসন্তোষ
-


ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ছুটির দিনে উপচেপড়া ভিড়েও বিক্রি ছিল কম। বিক্রেতারা জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার মেলায় দর্শনার্থী বেশী হলেও এখনো বিক্রি জমেনি। গতকাল মেলার ১৭তম দিনে মানুষের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা যায়, দলে দলে মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে পূর্বাচলে মেলার গেটে টিকিটের জন্য ভিড় করে আছেন।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক থেকে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। টিকিট কাউন্টারে ছিল উপচেপড়া ভিড়। বেলা ৩টার দিকে সম্পূর্ণ মেলা প্রাঙ্গণ মানুষে একাকার হয়ে যায়। প্রতিটি স্টলে ছিল মানুষের উপস্থিতি। প্যাভিলিয়নগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
গৃহস্থালি সামগ্রীর স্টলগুলোতে চলছে অফারের ছড়াছড়ি। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে বিক্রয়কর্মীদের হাঁক-ডাক করতে দেখা যায়। অন্য দিকে খাবারের স্টলগুলোতেও ছিল ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি। নানান স্বাদের খাবারের পসরা নিয়ে বসা বিক্রেতারা ক্রেতা আকর্ষণে ছিলেন মরিয়া। তবে খাবারের দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ অনেক। তাদের ভাষ্য, মানহীন খাবার বিক্রি করে তাতে উচ্চমূল্য নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া খাবার স্টলে বিক্রয়কর্মীদের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।
তবে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, মেলায় প্রতিদিন যে বিক্রি হচ্ছে তা আশানুরূপ না। গতকাল ছুটির দিনে বিক্রেতারা প্রত্যাশিত বিক্রির আশা করলেও তা হয়নি। তাদের ভাষ্য মেলাজুড়ে মানুষের উপচেপড়া ভিড় হলেও স্টলে বিক্রি কম।
তাদের ভাষ্য, প্রতিদিন মেলায় যে দর্শনার্থী আসেন তার বেশির ভাগই গল্প আড্ডায় ব্যস্ত থাকেন। স্টলে স্টলে ঘুরে বেড়ালেও বেশির ভাগ মানুষ কিছু কেনেন না। আর ছুটির দিনে পরিবারপরিজন নিয়ে যারা আসেন তারা সাধারণত বিনোদন নিতে পছন্দ করেন। তাই এখানে এসে আনন্দ উপভোগ করেন। ফলে মেলা মাঠে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেলেও বাস্তবতা ভিন্ন। মানুষ আছেন কিন্তু ক্রেতা নেই। এভাবেই প্রতিদিন কাটছে। তবে এখনো ব্যবসা জমেনি জানিয়ে তারা বলেন, মাসের শেষ সপ্তাহে মেলা পুরোপুরি জমবে বলে বিক্রেতাদের প্রত্যাশা।

মেলায় আগত একাধিক ক্রেতা পণ্যের দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এখানে দাম নিয়ন্ত্রণে নেই। নিউ মার্কেটে যে ওভেনের দাম ‘চার হাজার’ টাকা এখানে তার দাম হাঁকা হয় ১৫ হাজার টাকা। সাথে একাধিক আইটেম ফ্রি দেয়া হয়। যেগুলোর মান অত্যন্ত খারাপ। এ ছাড়া অন্যান্য যত পণ্য আছে তার বেশির ভাগেরই দাম চড়া। ফলে এখানে মানুষ কিনতে এসেও অতিরিক্ত দামে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
অতিরিক্ত দামের অভিযোগ প্রসঙ্গে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, তারা এক মাসের জন্য এখানে স্টল নিয়েছেন। তাতে স্টল ভাড়া ও কর্মচারী খচরসহ দিনে যে ব্যয় তা সঙ্কুুলান করতে হিমশিম খেতে হয়। ফলে একটু বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে বিদেশী প্যাভেলিয়নে দামের বিষয়ে ক্রেতারা অভিযোগ করেননি। তাদের ভাষ্য বিদেশ থেকে আসা স্টলগুলোর ব্যয় অনেক বেশি। তা ছাড়া তাদের পণ্যের কোয়ালিটি নিয়ে কারো সন্দেহ নেই। মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়েও কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেছেন, শৃঙ্খলা আরো কঠোর করা উচিত ছিল, যাতে করে আগতরা এখানে বিরক্তবোধ না করেন। তবে সব মিলিয়ে অন্য সময়ের তুলনায় এবারের ব্যবস্থাপনায় আগতরা অনেকটা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫১টিই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের স্টল-প্যাভিলিয়ন। বাকি ১১টি স্টল ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া-এই ৭ দেশের।
মাসব্যাপী এ মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন খোলা থাকছে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের কার্ড দেখিয়ে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফতুল্লায় ভাইদের মতোই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন জুয়েল যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ রোগীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে চিকিৎসক অভিযুক্ত স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অপেক্ষায় দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি হারানো মবিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার চীন থেকে ৪ লাখ ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে চুক্তি রাতে শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে দ্বীন বিজয়ের জন্য দাওয়াত সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই : উপাধ্যক্ষ আব্দুর রব জবাবদিহিতা নিশ্চিত করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় : মির্জা ফখরুল পতিত আ’লীগের বাজেটকে কন্টিনিউ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছে অন্তর্বর্তী সরকার : আমীর খসরু নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার ভাঙারি কুড়িয়ে চলছে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধের সংসার

সকল