১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ মাঘ ১৪৩১, ১৭ রজব ১৪৪৬
`

রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বাড়ছে ডিজেলের দাম

-


রাশিয়ার তেলের ব্যবসার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার পর ডিজেলের মূল্য এবং পরিশোধন মার্জিন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ও এলএসইজি তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ সরবরাহ সঙ্কট সৃষ্টি করবে।
যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ জানুয়ারি রাশিয়ার তেল উৎপাদক ও ট্যাংকারের ওপর এ পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর উদ্দেশ্য ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় বহনে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রফতানিকারকের রাজস্ব সঙ্কুচিত করা। নতুন নিষেধাজ্ঞায় লক্ষ্যবস্তু করা বেশির ভাগ জাহাজকে একটি কথিত গোপন বহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ভারত ও চীনে তেল সরবরাহ করত। রাশিয়ার সস্তা তেল আমদানি করে এই দেশগুলোর পরিশোধনাগারগুলো উপকৃত হয়েছে, যা ইউরোপে নিষিদ্ধ। এনার্জি অ্যাসপেক্টসের বিশ্লেষক নাটালিয়া লোসাডা বলেন, নিষেধাজ্ঞার খবরের পর ডিজেলের (মুনাফার ব্যবধান) বেড়েছে এবং আমরা রাশিয়ার ডিজেল রফতানিতে উল্লেখযোগ্য বাধা আশা করছি। গ্যাজপ্রম নেফট এবং সারগুতনেফতেগাজের পরিশোধনাগার থেকে রাশিয়ার অন্তত দৈনিক এক লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল ডিজেল রফতানি ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রথম মাসের ইউরোপীয় ডিজেল বেঞ্চমার্ক চুক্তির প্রিমিয়াম ছয় মাসের চুক্তির তুলনায় প্রতি মেট্রিক টনে ৫০.২৫ ডলার বেড়ে ১০ মাসের উচ্চতায় পৌঁছেছে। এলএসইজি তথ্য অনুযায়ী, ডিজেল পরিশোধন মার্জিন প্রতি ব্যারেলে ২০ ডলারে পৌঁছেছে, যা পাঁচ মাসের সর্বোচ্চ। উত্তর গোলার্ধের শীতকালীন আবহাওয়াও ডিজেলের বাজারকে সহায়তা করেছে। এশীয় ডিজেল পরিশোধন মার্জিন সোমবার ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেলে ১৭ ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা সেপ্টেম্বরের পর সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি। তবে বৃহস্পতিবার তা ১৬.৫০ ডলারে নেমে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রে ডিজেল ফিউচার ১০ জানুয়ারি ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার প্রতি ব্যারেলে ১১১ ডলারে পৌঁছায়, যা ছয় মাসের সর্বোচ্চ। সিঙ্গাপুরভিত্তিক দুই বাণিজ্য সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার ডিজেল প্রবাহ কমলেও এশীয় বাজারে সরাসরি বড় প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।
২০২২ সালের পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আগে ইউরোপ রাশিয়ার ডিজেলের শীর্ষ ক্রেতা ছিল। এখন তারা ভারত, মধ্যপ্রাচ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহের ঘাটতি পূরণ করছে। স্পার্টা কমোডিটিসের বিশ্লেষক জেমস নোয়েল-বেসউইক বলেন, রাশিয়ার প্রধান ডিজেল ক্রেতা তুরস্ক এবং ব্রাজিলকে যদি বিকল্প উৎস খুঁজতে হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে ঝুঁকতে হবে। এটি ইউরোপের ক্রেতাদের জন্য প্রতিযোগিতা আরো বাড়াবে।
অন্যান্য বিশ্লেষক মনে করেন, বাজার এই নিষেধাজ্ঞার সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে। এফজিই এনার্জির বিশ্লেষক ইউজিন লিন্ডেল বলেন, আমরা মনে করি না যে রাশিয়ার পণ্যের প্রবাহে বড় পরিবর্তন আসবে। একই পরিমাণ সরবরাহ নিষিদ্ধ না হওয়া ট্যাংকারের মাধ্যমে একই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফতুল্লায় ভাইদের মতোই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন জুয়েল যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ রোগীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে চিকিৎসক অভিযুক্ত স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অপেক্ষায় দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি হারানো মবিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার চীন থেকে ৪ লাখ ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে চুক্তি রাতে শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে দ্বীন বিজয়ের জন্য দাওয়াত সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই : উপাধ্যক্ষ আব্দুর রব জবাবদিহিতা নিশ্চিত করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় : মির্জা ফখরুল পতিত আ’লীগের বাজেটকে কন্টিনিউ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছে অন্তর্বর্তী সরকার : আমীর খসরু নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার ভাঙারি কুড়িয়ে চলছে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধের সংসার

সকল