১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২ মাঘ ১৪৩১, ১৫ রজব ১৪৪৬
`

সেন্টমার্টিনে আগুনে রিসোর্টের ২৬ কক্ষ পুড়ে ছাই

আগুনে পুড়ছে সেন্টমার্টিনের রিসোর্ট : নয়া দিগন্ত -

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিনটি ইকো রিসোর্টের ২৬টি কক্ষ। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন রিসোর্টের মালিকরা।
মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের গলাচিপা এলাকার বিচ ভ্যালি এবং কিংশুক ও সাইরী ইকো রিসোর্টে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইকো রিসোর্টে মালিকদের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জানান, মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে পশ্চিম সৈকতের গলাচিপায় অবস্থিত সাইরী ইকো রিসোর্টের (রিসিপশন) অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে মাল্টিপ্লাগে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে। এতে পাশে থাকা বিচ ভ্যালির ১৮টি কক্ষ, কিংশুক ইকো রিসোর্টে সাতটি ও সাইরী ইকো রিসোর্টের (রিসিপশন) অভ্যর্থনা কক্ষ ১টিসহ সর্বমোট ২৬টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সাইরী ইকো রিসোর্টের (রিসিপশন) অভ্যর্থনা কক্ষে মাল্টিপ্লাগে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের উৎপত্তি হয়। অভ্যর্থনা কক্ষে ঠিক পেছনে বিচ ভ্যালি ইকো রিসোর্ট। বাতাস থাকায় দ্রুত বিচ ভ্যালির ছাউনিতে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগে শুকনো কাঠ আর বাঁশ দিয়ে তৈরি বিচ ভ্যালি ইকো রিসোর্টে আগুন লাগার সাথে সাথে কয়েক মিনিটের মধ্যে পুরো রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিচ ভ্যালিসহ পাশের কিংশুক ইকো রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা এবং আগত পর্যটক, বিজিবি কোস্টগার্ড ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রচেষ্টায় ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান জানান, দ্বীপে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ফায়ার সার্ভিস কিংবা উন্নত মানের কোনো যন্ত্র না থাকায় আগুনে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। ইকো রিসোর্টের কর্মীরা জানিয়েছেন, আগুনের সূত্রপাতের সময় অধিকাংশ পর্যটক রিসোর্টের বাইরে থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে পর্যটকদের মালামাল পুড়ে গেছে এবং নির্ঘুম রাত কাটালেন তারা। কটেজগুলোতে আগুন নিয়ন্ত্রণের বিকল্প কোনো ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় সব কক্ষপুড়ে ছাই হয়ে যায়।
নৌবাহিনীর তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে
আইএসপিআর জানায়, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তী সময়ে নৌ-সদস্যদের সাথে যুক্ত হন কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা। নৌবাহিনীর সাবমারসিবল পাম্পসহ বিভিন্ন ফায়ার ফাইটিং ইক্যুইপমেন্টের মাধ্যমে প্রায় তিন ঘণ্টার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় নৌবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রিসোর্টগুলোয় অবস্থানরত পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement