শামীম ও নানক পরিবারের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৬
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রভাবশালী নেতা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং নারায়ণগঞ্জের গডফাদার খ্যাত সাবেক এমপি শামীম ওসমানের পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে দুদক। সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ এনেছে।
গতকাল বুধবার দুদকের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুই মামলার বাদি হয়েছেন দুদকের কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আহাম্মদ। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক। দুদক মহাপরিচালক মো: আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রথম মামলায় নারায়ণগঞ্জের জেলার প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে তার স্ত্রী ওকে টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালমা ওসমান ও প্রতিষ্ঠানের এমডি তানভীর আহমেদকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারে ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ ১৮ হাজার ৬০৩ টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২(ক) (২) ধারা লঙ্ঘন করে বিটিআরসির আইজিডব্লিউ লাইসেন্সধারী অপারেটর হিসেবে ৯১ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৫ টাকা আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল মিনিটের মূল্য বাবদ অর্জিত ১৯৩ কোটি ৯১ লাখ ১৮ হাজার ৬০৩ টাকা মূল্যের ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার (বৈদেশিক মুদ্রা) পাচার করে কিংবা আনয়নযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে মানিলন্ডারিংয়ের মতো অপরাধ করেন। দুদকের দ্বিতীয় মামলায় জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী ও রাতুল টেলিকমের চেয়ারম্যান সৈয়দা আরজুমান বানু, তার মেয়ে ও ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এস আমরীন রাখিকে আসামি করা হয়েছে। এই এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২’র ২(ক) (২) ধারা লঙ্ঘন করে ২৫৯ কোটি ৬২ লাখ ৫ হাজার ১৫৮ টাকা বা ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮১ মার্কিন ডলার পাচার করে কিংবা দেশের স্বার্থে আনয়নযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে অপরাধ হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, শামীম ওসমান ২০২৪ সালে হলফনামায় নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন। তার মোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ৫টি। জ্বালানি তেল আমদানি পরিবহন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জেড এন করপোরেশন, জেড এন শিপিং লাইনস লিমিটেড, মাইশা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, খান ব্রাদার্স ইনফোটেক ও উইসজম নিটিং মিলসকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিগত দিনে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে দুদকের দুটি মামলাসহ ১৭টি মামলা দায়ের হয়েছিল, যার মধ্যে কয়েকটি মামলা হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত রয়েছে ও বেশ কিছু মামলা রাষ্ট্র কর্তৃক প্রত্যাহার করা হয়েছে। কয়েকটি মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অপর দিকে জাহাঙ্গীর কবির নানক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব ও লেনদেন স্থগিত করে গত ২২ আগস্ট। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা