পাকিস্তান ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ১ লাখ টন আতপ চাল
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৪
ভারত ও পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্র ও রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে সরকার। পৃথক দু’টি ক্রয় প্রস্তাবে এই চাল ক্রয় করা হচ্ছে। এতে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ে ব্যয় হবে ২৭৭ কোটি দুই লাখ ৫৪ হাজার টাকা এবং রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে বাকি ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর ফলে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ৫৮১ কোটি ৪১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
আজ ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হতে পারে বলে জানা গেছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে বিকেলে সভাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র জানায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। দেশের সরকারি খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার (+৫ শতাংশ) মেট্রিক টন আতপ চাল জিটুজি পদ্ধতিতে পাকিস্তান থেকে আমদানির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান চাল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে দুই দেশের মধ্যে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ৪৯৯ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়। সে হিসেবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে দুই কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চালের মূল্য পড়বে প্রায় ৬২ টাকা।
জানা গেছে, একইভাবে দেশের সরকারি খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার (+৫ শতাংশ) মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ছয়টি দরপত্র জমা পড়ে। ছয়টি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনি¤œ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি মেট্রিক টন ৪৫৪.১৪ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে দুই কোটি ২৭ লাখ সাত হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৭৭ কোটি দুই লাখ ৫৪ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ৫৫.৪০৫০৮ টাকা। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২.৫০ লাখ মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল এবং জিটুজি পদ্ধতিতে এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা