শেখ হাসিনা সুবিধা দেয়ায় সীমান্তের বেড়া দিয়েছে ভারত : রিজভী

শেখ হাসিনা সুবিধা দেয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তের ১৬০টি স্থানে ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটোরিকশাচালক শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতকে নানা সুবিধা দিয়েছেন। এই সুবিধার কারণে ভারত নানা অসম কাজ করেছে। দুটি স্বাধীন দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে যে কাজগুলো করা যায়, সেটা না করে ভারত জোর করে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে। শেখ হাসিনা সুবিধা দেয়ায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে ভারত সীমান্তের ১৬০টি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের সাথে ৪ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম, বিধিবিধান, দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি, আলাপ-আলোচনাও মানছে না ভারত। শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজ সীমানার মধ্যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে গেলে দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতে হবে।
কিন্তু সেটা না মেনে লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জায়গার সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার চেষ্টা করেছে। এর বিরুদ্ধে যে জনগণ দাঁড়াতে পারে, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা প্রতিরোধ করতে পারেন, এ দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনার আমলে তিনি স্থাপন করতে দেননি। তিনি ফ্যাসিজম দিয়ে, তার নির্দয়তা দিয়ে, তার নির্মমতা দিয়ে ভারতের সেবাদাস হয়ে কাজ করেছেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শেখ হাসিনা একটা কথা বলতেন, নিজের দলের লোকদেরও বলেছেন যে আমার দলের লোকদের মধ্যে অনেককে কেনা যায়, কিন্তু শেখ হাসিনাকে কেনা যায় না। আরে, আপনাকে (শেখ হাসিনা) তো সবার আগে কেনা যায়। ভারত আপনাকে সবার আগে কিনেছে, তাই আপনার নিজের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গৌরবকে আপনি পদদলিত করে ভারতকে অসম কাজ করার সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন।’
দোয়া মাহফিলে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে রিকশা-ভ্যান-অটোরিকশার চালকদের ভূমিকা, আত্মত্যাগ, বীরত্ব, আহত হওয়ার কথা স্মরণ করে রিজভী আহমেদ আহত ব্যক্তিদের পাশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের থাকার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।