০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১, ৫ শাবান ১৪৪৬
`

পরিকল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ পর্যটনের উন্নয়ন

-


পরিকল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে দেশের পর্যটনের উন্নয়ন। বছরের পর বছর নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ কোনো কাজে আসেনি। ফাইলে তা অফিসবন্দী হয়ে আছে বছরের পর বছর। ফলে বিপুল সম্ভাবনার পরও সঙ্কটের মধ্যেই আটকে আছে এর প্রত্যাশিত উন্নয়ন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবকাঠামো, মানসম্মত রাস্তা, নিরাপত্তাব্যবস্থা, পর্যটন শিল্পের সমন্বয়হীনতা, দক্ষ জনবলের অভাব, বাজেট, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সেবায় ভোগান্তি, অতিরিক্ত হোটেল ভাড়া ও ভ্রমণ ব্যয়, যানজট, বিনোদন ও ভিসাব্যবস্থাসহ একাধিক সমস্যা এ খাতের উন্নয়নে বড় বাধা হয়ে কাজ করছে। তাই ভ্রমণ ও পর্যটন আয়ের বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। অথচ বাংলাদেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকারের পর্যটন করপোরেশন, ট্যুরিজম বোর্ড ছাড়াও বেসরকারিভাবে অনেক ট্যুর অপারেটরসহ টুরিস্ট পুলিশ রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় সব উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে ২০ সালের ১ জানুয়ারি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন শুরু করে। যা ৩০ জুন ২০ সালে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার পূর্ণতা আজও ঝুলে আছে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সাবেক সভাপতি শিবলুল আজম কোরাইশী নয়া দিগন্তকে বলেন, পর্যটন খাত স্থিতিশীল হতে সময় লাগবে। কারণ এর অবকাঠামোগত দুর্বলতা, দেশীয় বিমান ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা, প্রচারের অভাব, নিরাপত্তা, ও বিদেশী পর্যটকদের কাছে সুরক্ষাব্যবস্থা অনেক বড় বিষয়। তিনি বলেন, উন্নত সেবা ও তথ্যের অভাব যেমন রয়েছে, তেমনি পর্যটকের জন্য বাড়তি খরচ একটি বড় বোঝা। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী পর্যটন বাজারের ৫৩ শতাংশ আসে আমেরিকা এবং ইউরোপ থেকে। যা থেকে আমরা অনেকটাই বঞ্চিত। এসব সমস্যার সমাধান না হলে এর উন্নয়ন অসম্ভব।
অপর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূঁইয়া নয়া দিগন্তকে বলেন, আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি দুরবস্থা পর্যটন স্পটগুলোর। এগুলোর আধুনিকায়ন খুবই জরুরি।

শুধু দেশীয় পর্যটক দিয়ে এর কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন বিদেশী পর্যটক। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো অনেক দেশের লাল তালিকায় রয়েছে, তাই এখানে বিদেশীরা আসছেন না। তা ছাড়া ভিসা জটিলতায়ও পর্যটকরা প্রতিকূলতায় রয়েছেন। সব মিলিয়ে বিদেশী পর্যটকদের জন্য আমরা এখানো অনেক পিছিয়ে, তার সমাধানে এখন কাজ করতে হবে। তাই এর উন্নয়নে ক্যাম্পিংসহ আটকে থাকা সব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
কাজের অগ্রগতি না হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু তাহির মোহাম্মদ জাবের বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও ট্যুরিজম বোর্ডের অধীনে এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা শেষ হচ্ছে এবং হবে। বিদেশী পর্যটক বাড়লেও আশানুরূপ না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন পর্যটনকে অগ্রাধিকারের জায়গায় নিতে হবে।
স্পটে যাওয়ার জন্য রাস্তা, যানবাহন, বিশ্রাম, বিনোদন, টয়লেট, খাবারের মান ও মূল্য, থাকার জায়গা এসব অনুন্নত স্বীকার করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৫৫ লাখ ট্যুরিস্ট আনার লক্ষ্যমাত্র নিয়ে এখন কাজ চলছে। আপাতত পাঁচটি ট্যুরিজম স্পটকে আন্তর্জাতিক মানের করতে কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে অন্যগুলোকেও উন্নত করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে টসে হেরে ব্যাট করছে খুলনা উত্তরবঙ্গে পেট্রলপাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার বিএনপি নেতা পিন্টু হত্যার অভিযোগে হাসিনাসহ ২৭ জনের নামে মামলা খুলনায় ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার শহীদ যারা’ স্মারকের মোড়ক উন্মোচন শেখ হাসিনা নৌকা নিয়ে ভারতে চলে গেছেন : রেহানা আক্তার মুকসুদপুর এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা জেসিনার পদ স্থগিত নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ৩ দিনের রিমান্ডে সংস্কার সংস্কার বলে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করছে : তারেক রহমান পটুয়াখালীতে যুবকের লাশ উদ্ধার

সকল