কুষ্টিয়ায় আহত জামায়াত কর্মীর মৃত্যু এলাকায় উত্তেজনা
- কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ও মিরপুর সংবাদদাতা
- ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৪
কুষ্টিয়ার মিরপুরে জামায়াতের সাথে বিএনপি- জাসদের সংঘর্ষে জামায়াতের আহত কর্মী খোকন আলী মোল্লা (৩৫) মারা গেছেন। গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঢাকার ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। পুলিশ ও জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজাউদ্দিন জোয়ার্দার খোকনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত খোকন মিরপুর উপজেলার বুরাপাড়া গ্রামের নওশের আলী মোল্লার ছেলে কৃষিকাজ করতেন। তিনি জামায়াতের কর্মী ছিলেন। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এ দিকে জামায়াতের কর্মী নিহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা জামায়াতের নেতারা।
গত রোববার বিকেলে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে বুড়াপাড়া গ্রামে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা (মুকুল) ও স্থানীয় বিএনপির কর্মী রাশেদ মাহমুদের (নাসির) মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারা দু’জনেই কমিটির আহ্বায়ক প্রার্থী ছিলেন। অ্যাডহক কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য নাসিমের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন বিএনপি নেতা রাশেদ। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত শনিবার রাতে নাসিমকে হুমকি দেন রাশেদ।
এরই প্রতিবাদে রোববার বিকেলে বুড়াপাড়া বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির কর্মী নাসিরসহ স্থানীয় জাসদের সমর্থকেরা সেখানে গেলে দুইপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও উত্তেজনা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে খোকনকে ঢাকায় ইবনেসিনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রোববার বিকেল ৩টার দিকে খোকনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজাউদ্দিন জোয়ার্দার বলেন, সোমবার বেলা তিনটার দিকে আহত খোকন ঢাকায় মারা গেছেন। তিনি জামায়াতের কর্মী ছিলেন। তার লাশ ঢাকা থেকে আসার পর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খুনিদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
আমলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির নেতা নাসিরের নেতৃত্বে বিএনপির শতাধিক লোকজন আমাদের কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অবস্ ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ জানান, স্কুল কমিটি নিয়ে রোববারের সংঘর্ষে আহত খোকন নামের একজন ঢাকায় মারা মারা গেছেন। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার জানান মিরপুর আমলার ঘটনাটি মূলত পারিবারিক। রাশেদ বিএনপির কেউ না; সে জাসদের নেতা বলে জেনেছি। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা