রাবিতে গণতিলাওয়াত কর্মসূচি পালন
- রাবি প্রতিনিধি
- ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলোতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির লক্ষ্যে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি পালন করেছেন রাবি শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়া কমিউনিটির উদ্যোগে এই কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মাঈন উদ্দিন খান বলেন, পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে মুসলমানদের হৃদয়ে তারা আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশটা ভালোভাবে চলুক তারা চায় না। আগস্ট বিপ্লবের পর তারা চাচ্ছে আমাদের ক্যাম্পাস অচল হয়ে যাক। শুধু ক্যাম্পাস নয়, দেশের মধ্যে তারা লুকিয়ে থেকে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এখনো। আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের এই চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়েছে। তারা যে কর্মকাণ্ড করেছে তাদের উচিত জবাব দিতে এই কর্মসূচি দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি। আমি চাই এ রকম কর্মসূচি শুধু শহীদ মিনারে নয়, প্রতি হলে হলে হোক।
আয়োজক কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শুয়েবুল হাসান বলেন, রাবির আবাসিক হলগুলোতে পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়া এবং চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে মুসলমানদের উসকে দেয়ার চেষ্টা করছে চক্রান্তকারীরা। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর যে চেষ্টা চালানো হচ্ছে আমরা তার শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আজকের এই গণ কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি তারই অংশ। যারা এই ন্যক্কারজনক কাজ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে পবিত্র আল কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। কে বা কারা এই কর্মকাণ্ড করেছে তার কোনো হদিস এখনো পাইনি। তবে তাদের এই কর্মকাণ্ডের বিপরীতে আমরা কুরআনের বাণীর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুরআন তিলাওয়াতের আয়োজন করেছি। আমরা আমাদের কুরআনের অবমাননার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকব ইনশাআল্লাহ। ওই আয়োজনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শনিবার রাতে ৭টি আবাসিক হলে কে বা কারা পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করেছিল। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা