১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১১ রজব ১৪৪৬
`
মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা

কাজ না হলে বিআরটিএ বিলুপ্তের চিন্তা করা হবে

-

গাড়ির ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্স না থাকার জন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় বিআরটিএ’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বহন করতে হবে। আর এতে যদি হতাহতের ঘটনা ঘটে তার দায়দায়িত্ব ওই কর্মকর্তাদের নিতে হবে। শুধু তাই নয়, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরপরও যদি কাজ না হয় তাহলে প্রয়োজনে বিআরটিএ বিলুপ্ত করে দেয়ার চিন্তা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
গতকাল শনিবার দুপুরে বিআরটিএ ভবন পরিদর্শন ও কনফারেন্স রুমে রোড সেফটি বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বিআরটিএ-এর কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে, তারা যে আচরণ করছেন সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। আমি তাদের এটাও বলেছি, সরকারি বিভিন্ন দফতর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিআরটিএ-এর কাজের যদি উন্নতি না হয়, তাহলে আমরা বিআরটিএ বন্ধ করে দেয়ার কথা চিন্তা করব।
উপদেষ্টা বলেন, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ১২ শতাংশ বেড়েছে। সম্প্রতি রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন আমাদের সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে। গত বছর সারা দেশে সাত হাজার ২৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। তা আগের বছরের থেকে ১২ শতাংশ বেশি। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারিনি এর দায় আমরা নিচ্ছি।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, জীবনের কোনো মূল্য হয় না; কিন্তু অপরাধ স্বীকারের অংশ হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য বিআরটিএ-সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে, গাড়ির ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্স না থাকার জন্য যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে বিআরটিএ-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সরাসরি দায়ী করা হবে। এসব মৃত্যুর দায়িত্ব তাদের ওপর আসবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস ইস্যু করার প্রক্রিয়া অনেক জটিল। তাই এখন থেকে লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থাটা সহজ এবং কার্যকর করা হবে। এ জন্য আমরা প্রথমেই চালকদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।
উপদেষ্টা বলেন, বিআরটিএকে এক মাসের সময় দেয়া হয়েছিল নিজেদের অবস্থার উন্নতি করার জন্য। গ্রহণযোগ্যভাবে উন্নতি না হলেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমরা বিআরটিএকে প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখব। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। এটাকে আরো বাড়ানো হবে।


আরো সংবাদ



premium cement