তাবলিগের সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি

টঙ্গী ইজতেমার মাঠে বারবার হামলাকারী ভ্রান্ত সাদপন্থীদের সবধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং টঙ্গী মাঠে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ মামলার আসামিদের জামিন বাতিল করে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে টঙ্গী ইজতেমার মাঠে হামলাকারী পথভ্রষ্ট সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা সরকারের কাছে এ দাবি জানান। এতে পল্টন ও সেগুনবাগিচা হালকার মুরুব্বি মুফতী জুবায়ের রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, মুফতী সাখাওয়াত হোসেন রাজী ও মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী। এ সময় মাওলানা এনামুল হক মুসার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা জোবায়ের আহমেদ, মাওলানা জিয়াউল হক, মুফতী জাকির হোসেন, মুফতী আবুল হাসান, মাওলানা কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে টঙ্গী ইজতেমার মাঠে সাদপন্থীদের দ্বারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত আসামিরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে বিভিন্ন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভ্রান্ত সাদপন্থীদেরকে দেশের বিভিন্ন মসজিদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ করার সুযোগ দেয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা আরো বলেন, দেশের শীর্ষ আলেমদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে টঙ্গী হামলাকেন্দ্রিক সাদপন্থীদের পক্ষ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি ও ১-২ ফেব্রুয়ারি আলেম-উলামাদের তত্ত্বাবধানে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন সেই ইজতেমা সফল করার জন্য আমরা দেশের আপামর তৌহিদী জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। কাকরাইল মসজিদে তাবলীগের কাজ শুধুমাত্র শূরাই নেজামের আলেমদের তত্ত্বাবধানে পরিচালনার দাবি জানান তিনি। কঠিন হুঁশিয়ারী দিয়ে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে তাবলীগ জামাত থাকবে একটি। বিশ্ব ইজতেমাও হবে একটি। কেউ যদি দু’টি করার পাঁয়তারা করে তাহলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। তিনি আরো বলেন, সাদপন্থিরা আওয়ামী লীগের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়েছে। তারা রাতের আঁধারে তৌহিদি জনতার ওপর বারবার হামলা করেছে। মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা মানুষ হত্যা করেও জামিন পেয়ে যাচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে-কাকরাইল মোড় হয়ে-মালিবাগে গিয়ে শেষ হয়।