১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬
`

মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু

রাজধানী ধানমন্ডির একটি হাসপাতালের বাইরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী : নয়া দিগন্ত -

কেউ যদি মনে মনে মনগড়া কথা বলেন সেটা তাদের সমস্যা। বাংলাদেশ আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, জনপ্রিয় দল জাতীয়তাবাদী দল যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, এ অবস্থায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। এখন মাইনাস টু’র কথা যারা বলেন, অনেকে হয়তো বলেন, তা ‘উইশফুল থিংকিং’ আশা আর কি। ওই আশা জীবনে পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা বিএনপি নেতাকর্মীদের কথা উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, তাদের স্বাগত জানানোর মূল কারণ হচ্ছে এই লোকগুলো গত ১৬ বছর যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ফ্যাসিস্টবিরোধী স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন। তারা হোয়াইট হাউজের সামনে, ক্যাপিটাল হিলে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়েছেন। হাসিনার সম্মুখীন হয়েছেন, তার সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করেছেন, সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়েছেন। দেশে এদের সবার আত্মীয়-স্বজনের নামে মামলা আছে। এদের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা আছে। তাদের অনেকে ব্যবসা হারিয়েছে, চাকরি হারিয়েছে। এদের পরিবারের অনেক লোক জীবনও দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনের কথা বলি; কিন্তু আন্দোলন একদিনে হয়নি। এই আন্দোলন গত ১৫-১৬ বছরে কত লোকের যে ত্যাগ স্বীকার, সেটা অনেকে ভুলে যায়। আমরা শুধু সাম্প্রতিক আন্দোলনের কথা বলি তো, গত ১৫-১৬ বছর এই লোকগুলো কিন্তু আন্দোলনের বড় একটা অংশ। এদেরকে বাদ দিয়ে কোনো আন্দোলন হয়নি। এরা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আইনপ্রণেতাদের ওপর, কংগ্রেসম্যান, সিনেটরদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন সংস্থাগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তার ফলে বাংলাদেশে এদের পরিবারকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবু এরা থেমে থাকেনি। গত ১৫-১৬ বছর তারা দেশে আসতে পারেননি, আত্মীয়-স্বজনকে দেখতে পারেননি। আজ এত বছর পর এই লোকগুলো দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন।
ম্যাডাম যাওয়ার পর মাইনাস টু এর কথা সামনে আসছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ যদি মনে মনে মনগড়া কথা বলেন সেটা তাদের সমস্যা। এখন মাইনাস টু এর কথা যারা বলে, সেটা তাদের ‘উইশফুল থিংকিং’ আশা আর কি। ওই আশা জীবনে পূরণ হবে না। ওইটা এরশাদ পারে নাই। ওইটা ওয়ান-ইলেভেন পারে নাই। আর এখন তো বিএনপি অনেক বেশি শক্তিশালী দল। সুতরাং ওই সমস্ত মনগড়া কথা বলা আর তার উত্তর দেয়ারও আমি প্রয়োজন বোধ করি না।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতেই হবে এটাই প্রথম ধাপ। নির্বাচন হলো প্রথম সংস্কার। এটা দিয়েই শুরু করতে হবে সংস্কার এবং গণতন্ত্রের আন্দোলন। গণতন্ত্রের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী দিনের যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা সেটা আগামী দিনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, সহসভাপতি জসিম উদ্দিন বিবি, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীর, রানা চৌধুরী, শাহিন আব্দুল্লাহ, কাউসার আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement