১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

পশ্চিম থেকে আসছে ঘন কুয়াশা

বাড়বে শীতের অনুভূতি
রাজধানীতে কুয়াশা ভেদ করে ছুটে চলছে মেট্টোরেল : মোহাম্মদ শরীফ। আরব সাগর থেকে দিল্লি বাংলাদেশে আসছে ঘন কুয়াশা। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি (ইনসেটে) -

পশ্চিম দিক থেকে আসছে ঘন কুয়াশা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্য দেখা যাচ্ছে না। দুপুরের পর থেকে উষ্ণতা একটু বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারো ঠাণ্ডার অনুভূতি শুরু হচ্ছে। কুয়াশা আগামীকাল ও পরশু একই রকম থাকতে পারে। শীতের মাত্রাও গতকালের চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে একটু বেশি হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুসারে গতকাল দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ ছিল না। আজো শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস নেই তবে রাতের তাপমাত্রা আরো ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এ কারণে হয়তো দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। এ দিকে গতকাল থেকে কুয়াশা বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। তা সত্ত্বেও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশেই বিমান যোগাযোগ ব্যাহত হতে পারে। ঘন কুয়াশা থাকলেও বিমান উড্ডয়ন করতে পারলেও নামার সময় রানওয়ে দেখা যায় না। আরো ভালো করে বলতে নিচের কোনো কিছুই দেখা যায় না। সে কারণে বিমান সময় মতো পৌঁছাতে নাও পারে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, কোথাও বিমানে গেলে সময় নিয়ে যেতে হবে এবং বিমানে উঠতে ও নামতে একটু বেশি সময় নিতে পারে। বিমান ছাড়াও নৌপথে আরো বেশি সময় নিতে পারে। কারণ রাতের বেলা কুয়াশার কারণে সামনে ১০০ মিটারের মধ্যে কিছুই দেখা যায় না। সড়ক যোগাযোগও দেরি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ‘ভারতের দিল্লির দিক থেকে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই ঘন কুয়াশা আসছে। তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর বাংলাদেশের আকাশে প্রবেশ শুরু করে এই কুয়াশা। রাত ৩টা থেকে ৪টার দিকে রাজধানী পর্যন্ত এসে পড়ে। এরপর সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যান্য বিভাগও ছেয়ে গেছে ভারী ও ঘন এই কুয়াশা। কুয়াশার কারণে ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়ায় গতকাল বিকেল থেকে দেখা গেছে একটু বেশি ভারী গরম কাপড় পরে বের হয়েছেন রাজধানীবাসী। দুপুরের দিকে সূর্যের কিছুটা তেজ থাকলেও বিকেলের দিকে আবারো ঘন কুয়াশার আড়ালে চলে যায় সূর্য। ফলে গত রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় যশোরে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহ না হলে ১২ অথবা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা যে এলাকায় নেমেছে সেখানে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বিরাজ করে। ঢাকা শহরে বসে ওই তামপাত্রা অনুভব করা সম্ভব নয়। কারণ ঢাকার তাপমাত্রা সর্বদাই কিছুটা বেশিই থাকে দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে। চলতি বছর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। তাতেই মানুষের মধ্যে শীত নিবারণে দিশেহারা অবস্থা দেখা গেছে। ঢাকার গরম কাপড়ের মার্কেট বিকেল থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে তখন। কিন্তু গ্রামের দিকে ঘন গাছ-গাছালি শোভিত এবং খোলা প্রান্তরে যাদের বাড়ি সেখানে শীত শুরু হয়ে যায় বিকেল থেকেই। সন্ধ্যার পর থেকেই গাছের পাতায় কুয়াশা পড়ে ভারী হয়ে টুপটুপ শব্দ হতে থাকে। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠে অনেকের মনে হয়, রাতে বুঝি বৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।

আবহাওয়া দফতর আজ বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, তবে তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও শীতের অনুভূতি বিরাজমান করতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement