০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬
`
মোদির সফর বিরোধী আন্দোলনে ১৭ হত্যা

হাসিনাসহ ১৬ জনের নামে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

-

২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে ১৭ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবরে এ অভিযোগ করেন ওই ঘটনার সময় নিহত আসাদুল্লাহ রাতিনের (১৭) বাবা মো: শফিকুল ইসলাম। শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সাথে এসে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন শফিকুল ইসলাম।

ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পর আখতার হোসেন বলেন, ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন হয়, সে আন্দোলনে শহীদ, আহত, সংগঠক ও নিপীড়িতদের পক্ষ থেকে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছি। এতে সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। আখতার হোসেন আরো বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশের ডান-বামসহ সমস্ত চিন্তার মানুষেরা যখন ভারতের আগ্রাসনের প্রতিবাদে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির আগমনের প্রতিবাদে সারা দেশে আন্দোলন-সংগ্রাম করছিলেন, সেই সময়টাতে এই নিরস্ত্র মানুষগুলোর ওপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ করা হয়। সরকারি হিসাব মতেই, ১৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ঢাকায় নির্বিচারে মানুষের ওপরে নিপীড়ন ও গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। সেই আন্দোলনের সময় যারা আহত হয়েছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আহত যারা ঢাকা এসেছিলেন তাদের চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি। তাদের চিকিৎসা বঞ্চিত করা হয়েছে। সেই সময় শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ৫৪টি মামলা করে ৭ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়।

নিহত আসাদুল্লাহ রাতিনের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে জরুরি বিভাগ থেকে বলে গুলি খেয়ে এসেছে, বাংলাদেশের কোথাও চিকিৎসা হবে না। তিনি বলেন, ছেলে গুরুতর আহত হলেও চিকিৎসা করাতে রাজি হয়নি হাসপাতালগুলো। বিনা চিকিৎসায় একপর্যায়ে তার ছেলে মারা যান। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদেরও বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, আজ ন্যায়বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে এসেছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement