জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চাই : প্রধান বিচারপতি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১১
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, এই জাতি অনেক আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের দিকে তাকিয়ে আছে। সাধারণ নাগরিকের মতো আমিও সেই আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে আছি। আমি জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ন্যায়বিচার দেখতে চাই। গতকাল সংস্কার করা ট্রাইব্যুনালের মূলভবন ও এজলাস কক্ষের উদ্বোধনের পর এ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজা মজুমদার, অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনালের সংস্কারকৃত মূলভবন ও এজলাস কক্ষ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হলো। আশা করি, এই ভূখণ্ডের বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি ‘ঢাকা হাইকোর্ট’ বা ‘পুরাতন হাইকোর্ট ভবন’ হিসেবে যে মহান ঐতিহ্য ধারণ করে আছে, ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনয়ন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচারের শ্বাশত নীতিগুলোর অনুসরণের মাধ্যমে তা নতুন মাত্রায় পূর্ণতা পাবে।
তিনি বলেন, একজন সাধারণ নাগরিক তার হৃদয় উৎসারিত অকৃত্রিম চেতনাবোধ থেকে সমগ্র জাতির নৈতিক সমর্থনপুষ্ট একটি গণজোয়ার রুখতে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি প্রত্যাশা রাখেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমিও অনুরূপ প্রত্যাশা রাখি।
উদ্বোধনের পর তিনি ট্রাইব্যুনালের মূলভবন, এজলাস কক্ষ ও প্রসিকিউশন অফিস কক্ষ পরিদর্শন করেন।
এ দিকে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে থেকেই এই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেল। এখন থেকে মামলা ডেট যেদিন পড়বে নতুন ভবনে বিচার কাজ হবে।
অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের পর অক্টোবর মাস থেকে জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের তত্ত্বাবধায়নে অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। আইন ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত একাধিকবার অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সংস্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, ১৯০৫ সালে গভর্নর হাউজ হিসেবে যাত্রা করা ‘পুরাতন হাইকোর্ট ভবনটি’ পাকিস্তান আমল থেকে ঢাকা হাইকোর্ট এবং ২০১০ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শত বছরের পুরনো ভবন থেকে সরিয়ে নেয়া হয় ট্রাইব্যুনাল। পুরনো এই ভবনের পাশেই টিনশেডের স্থাপনা তৈরি করে সেখানে স্থানান্তর করা হয় ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশনের কার্যালয়। জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করার পরও ওই টিনশেডের স্থাপনাতে বিচারকাজ শুরু হয়। এখন প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের মূলভবনেই বিচার কার্যক্রম চলবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা