বরফের রাজ্যে ধাতব পাহাড়!
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৬
বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের নাম গ্রিনল্যান্ড হলেও সেখানে দেখা মেলে না এক ফোঁটা সবুজের। সেখানকার ৮৫ শতাংশ এলাকা তুষারে ঢাকা। ২১ কোটি ৬৬ লাখ বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত এই দ্বীপটির অধিবাসীর সংখ্যা মাত্র ৫৭ হাজারের কাছাকাছি। গ্রিনল্যান্ডের অধিবাসীদের সাধারণত আমরা এস্কিমো বলে জানি।
১৮ শতকে ইউরোপের কয়েকটি অনুসন্ধানকারী দল গ্রিনল্যান্ডে পা রাখার পর মৃত্যুশীতল তাপমাত্রায় প্রতিনিয়ত লড়াই করে বেঁচে থাকা এই মানুষগুলোর সন্ধান পান। তারা দেখেন প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে টিকে থাকার আশ্চর্য শক্তি রয়েছে তাদের মধ্যে। ১৮১৮ সালে ইংল্যান্ডের অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জস রোস গ্রিনল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে স্থানীয় ইনুইটদের সাথে যোগাযোগ করেন। সে সময় তিনি লক্ষ করেন, ইনুইটরা শিকারের জন্য এক ধরনের বিশেষ ছুরি ও বল্লম ব্যবহার করেন যেগুলোর অগ্রভাগে লোহার মতো শক্ত ধাতব উপাদান রয়েছে।
ক্যাপ্টেন রোস প্রথমে ভেবেছিলেন গ্রিনল্যান্ডের উপকূলে ভেসে আসা কোনো পরিত্যক্ত জাহাজ থেকে এই ধাতু পেয়েছেন ইনুইটরা। পরে তার সেই অনুমান ভুল বলে প্রমাণিত হয়। এক স্থানীয় ইনুইট তাকে জানান এই বরফে ঢাকা উপত্যকায় লুকিয়ে রয়েছে এক ধাতব পাহাড়।
এই তথ্যটি শুনে রোসের মনে সন্দেহ জাগলেও চোখের সামনে অস্ত্রগুলো দেখে তা অবিশ্বাস করার উপায় ছিল না। সেই অমূল্য ধাতব পাহাড়টি খুঁজে পেতে একের পর এক দুর্গম এলাকায় তল্লাশি চলে। তবে বহু চেষ্টা করেও সেই পাহাড়ের সন্ধান পাননি রোস। ব্যর্থ হয়ে খালি হাতেই তাকে ফিরতে হয়। রোসের দৌলতে সারা ইউরোপে চাউর হয়ে যায় গ্রিনল্যান্ডের অদ্ভুত এই পাহাড়টির গল্প।
বিদেশী হিসেবে গ্রিনল্যান্ডের বুকে লোহার পাহাড়টির প্রথম আবিষ্কার করেন যে ব্যক্তি তিনি ছিলেন আমেরিকান নৌবাহিনীর এক সদস্য। তার নাম রবার্ট পিয়েরি। ১৮৯৪ স্থানীয় এক ইনুইটকে সঙ্গী করে পিয়েরি ওই লোহার পাহাড় খুঁজে পান। খুঁজে পাওয়ার পর তা পরীক্ষা করে তিনি বুঝে যান এটি পৃথিবীর কোনো অংশ নয়। বিশাল এই লোহার টুকরাটি মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে খসে পড়া উল্কাপিন্ডের অংশ। এটি প্রায় ১০ হাজার বছর আগে গ্রিনল্যান্ডে আছড়ে পড়ে বলে ধারণা করেন তিনি। ইন্টারনেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা