০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬
`
হেলথ টিপস

সহজে ওজন হ্রাস

-

ওজন কমানো মানেই যে সবসময় কঠোর ডায়েট অনুসরণ করা বা জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানো সেটা নয়। দৈনন্দিন জীবনের সাথে খাপ খায় এমন সহজ ও সাসটেইনেবল অভ্যাস গ্রহণ করার মতো ছোট ছোট বিষয়ই আপনাকে রাখতে পারে ফিট। যুক্তরাষ্ট্রের পার্সোনাল ওয়েট লস কোচ অ্যাম্বার ক্লেমেন্স। তিনি ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কমিয়ে ফেলেছেন ৭২ কেজি ওজন। ছোট ছোট সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবর্তন করেই তিনি এই ওজন ঝরিয়েছেন।
প্রতিদিন ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার স্টেপ হেঁটেছেন : তিনি লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে উঠতেন। গাড়ি দূরে পার্ক করে রাখতেন। হাঁটা কেবল ক্যালোরিই পোড়ায় না বরং মনও ভালো রাখে।
প্রতিদিন ৩ লিটার পানি খেতেন: প্রতিদিন তিন লিটার পানি খেতেন তিনি। এতে বিপাক ক্রিয়া শক্তিশালী থাকে এবং অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া রোধ করা সম্ভব হয়। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতেও পানি জরুরি। যেখানেই যেতেন না কেন, সাথে একটি পানির বোতল রাখতে ভুলতেন না অ্যাম্বার।
প্রতিটি খাবারে প্রোটিনকে অগ্রাধিকার দিতেন: প্রোটিন অ্যাম্বারের সেরা বন্ধু। তিনি প্রতিটি খাবারের সাথে ২৫—৩০ গ্রাম প্রোটিন রাখতেন। এমনকি স্ন্যাকসের জন্যও ৫—১০ গ্রাম প্রোটিন রাখতেন। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখতো। প্রোটিন ওজন কমানোর সময় পেশি ভর বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
কোন বেলায় কি খাবেন সেটা ঠিক করে ফেলতেন আগেই: পছন্দের খাবার পেয়ে অনেক সময় খেতে খেতে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে অ্যাম্বার প্রতি রাতে পরদিন কোন খাবার কতটুকু খাবেন সেটা ঠিক করে ফেলতেন।
নিজেকে মিষ্টি খাবারের ট্রিট দিতেন: নিজেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত করতে নারাজ অ্যাম্বার। তাই নিজেকে প্রতিদিন একটি ছোট টুকরার মিষ্টি খাবার দিয়ে ট্রিট দিতেন তিনি। রাতের খাবারের পরে এক টুকরো চকোলেট বা কাজের বিরতির সময় মিষ্টি কোনো খাবার খেতেন। অভ্যাসটি তাকে মনে করিয়ে দিতো যে পরিমিত খাওয়া মানেই সবকিছু বাদ দিয়ে দেয়া নয়। ইন্টারনেট।

 


আরো সংবাদ



premium cement