০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

আরামকোর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানানো হয়নি : সৌদি রাষ্ট্রদূত

বক্তব্য রাখছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আলদুহাইলান : নয়া দিগন্ত -


বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল কোম্পানি সৌদি আরবের আরামকো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট তিনবার বাংলাদেশে এসেছিল। কিন্তু তাদেরকে কেউ স্বাগত জানায়নি।
এই অভিযোগ করে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আলদুহাইলান বলেছেন, এখন আমরা অতীত নিয়ে কথা বলব না, ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলব।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ‘সৌদি-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা : ধারা, মূল চ্যালেঞ্জ ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা’ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা সালাউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বিশেষ অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।

রাষ্ট্রদূত আলদুহাইলান বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি আরামকো বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। তারা বঙ্গোপসাগরে একটি তেল শোধনাগার স্থাপন করতে চায়। যদি এখানে একটি তেল শোধনাগার থাকে এবং তেলজাতীয় পণ্য উৎপাদন করে, তবে সেখান থেকে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে জ্বালানিজাত পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। আমরা যদি চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা বা দাম্মামের মধ্যে একটি সমুদ্রপথ তৈরি করতে পারি, তবে সেটি বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। এই তেল শোধনাগারের পণ্য চীন, ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাঠানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আমাদের কিছু সফলতার গল্পও আছে। সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক কোম্পানি রেড সি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা টার্মিনাল অপারেট করছে। কোম্পানিটি মাতারবাড়ি গভীর সুমদ্র বন্দরে কাজ করতে আগ্রহী।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেকদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশ থেকে দুই ব্যাচ স্বাস্থ্যকর্মী সৌদি আরব পাঠিয়েছি। তৃতীয় ব্যাচ ভবিষ্যতে যাবে।

দুর্নীতি ও অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি অতীতে অনেক ভুল নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ জন্য আমাদেরকে মূল্য দিতে হচ্ছে। সৌদি কোম্পানি আরামকো বাংলাদেশে এসেছিল; কিন্তু তাদের স্বাগত জানানো হয়নি। একই কথা দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের ক্ষেত্রেও সত্য। স্যামসাংয়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছিল, তাদেরকেও স্বাগত জানানো হয়নি। পরে তারা ভিয়েতনামে চলে গেছে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মূলত সংস্কারের লক্ষ্যে এক থেকে দেড় বছরের জন্য এসেছে। সে লক্ষ্যে আমরা ফুটপ্রিন্ট (পদচিহ্ন) রেখে যেতে চাই।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন ভর্তুকি এবং স্বল্প সুদের সস্তা অর্থের দিন শেষ। এগুলো প্রতিযোগিমূলক অর্থনীতির চিহ্ন নয়। আমরা আর কতদিন শিশু থাকব। তৈরি পোশাক শিল্প ১৯৮০ দশকে চালু হয়েছে। ৪৫ বছর পরেও এটি শিশু অবস্থায় রয়ে গেছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে আমরা ১৬০ কোটি ডলার পেয়েছি। অল্প দিনের মধ্যে আরো ৭০ কোটি ডলার পাবো। তবে অর্থ সংগ্রহ করা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হচ্ছে কোথায় অর্থ ব্যয় হচ্ছে এবং কিভাবে অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়তা বা অনুদান বড় বিষয় নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্যবসা। সৌদি আরবের সাথে আমাদের ২০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য আছে- এটি আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
অর্থনৈতিক সুযোগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশকে অনেক কিছু করতে হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছি, আমাদের দেশ সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি সবসময় সত্যি নয়। এই বাস্তবতা আমাদের মেনে নিতে হবে। বর্তমান সরকার অবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যবসা সহজ করার পদক্ষেপ নিচ্ছি। এখন সৌদি বিনিয়োগকারীরা এলে ভালো একটি পরিবেশ দেখতে পাবেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
প্লাস্টিকের বোতল স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি করছে স্ত্রীসহ সাবেক এমপি শিখরের নামে দুদকের দুই মামলা খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা : ফিরোজার সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় সিলেটে তাফসির মাহফিল বৃহস্পতিবার, প্রধান আলোচক মিজানুর রহমান আজহারি রংপুরের পাঁচে পাঁচ, ঢাকার টানা চার হার কুয়েটে ১০৬৫ আসনের বিপরীতে ২৪ হাজার ৫২৭ শিক্ষার্থী কুখ্যাত গুয়ানতানামো কারাগার থেকে মুক্তি ১১ ইয়েমেনির ৫ মাসের অর্জনে খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক : মুখপাত্র শিখা জানা গেল কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় সচিবালয়ের সামনে পুলিশের সাথে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

সকল