০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

১৩৬ প্রজাতির ফুল চট্টগ্রামের ডিসি পার্কে

১৩৬ প্রজাতির ফুল চট্টগ্রামের ডিসি পার্কে -

সমুদ্রের পাশ ঘেঁষে বিস্তীর্ণ এলাকা রঙিন কুলে ছেয়ে আছে। বাতাসে ফুলের মিষ্টি সৌরভ, মৌমাছির গুঞ্জন, প্রজাপতির ডানার জৌলুস আর রঙের অফুরান সৌরভের সমাহার। ১৯৪ একর জমিজুড়ে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, কসমস, ডেইজি জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ ১৩৬ প্রজাতির ফুলের রাজত্ব। মনে হবে চট্টগ্রামের বুকে একটুকরো স্বর্গ। ফুলের তীব্র সুগন্ধ, অসংখ্য মৌমাছি-প্রজাপতিদের উড়ে যাওয়া দৃশ্য মন কেড়ে নেবে।
চট্টগ্রামের ফুলের রাজ্য ডিসি পার্কের দৃশ্য এটি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ফেলে কিছুদূর এগুতেই বন্দর টোল রোডের সামনে এ পার্ক। ১৯৪ একর জায়গার মধ্যে রয়েছে দুটি বড় জলাশয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সরকারি এই জমি দখলমুক্ত করে সেখানে বিশেষ ধরনের বাগান গড়ে তোলার এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন। সেই বাগানই আজকের ডিসি পার্ক। দেশী বিদেশী শত প্রজাতির বাহারি ফুল নিয়ে গতকাল শনিবার থেকে ডিসি পার্কে বসেছে নয়নাভিরাম এক ফুলের মেলা।

দেশের সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান : চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন (ডিসি) ফরিদা খানমের দাবি, আয়তন, ফুলের প্রজাতি ও সংখ্যা বিবেচনায় এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান। বাগানে ১৩৬ প্রজাতির এক লাখের বেশি ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ম্যাগনোলিয়া, শিউলি, হাসনাহেনা, অপরাজিতা যেমন আছে তেমনি আছে চেরি, জারবেরা, উইলো, উইস্টেরিয়া। আছে কনকাম্বরী, হাইব্রিড জবা, চিলিজবা, হিজল, কৃষ্ণচূড়া, বকুল, পলাশ, শিমুল, করবী, ধানলিলি, নীল পারুল, নীলকণ্ঠ, রেইনলিলি, গন্ধরাজ, কাঠমল্লিকা, বাসন্তী, লিলিয়াম, জিনিয়া, ইনকা মেরী গোল্ড, ডালিয়া, কামিনী, বেলী, দোলনচাঁপা, মাধবীলতাসহ দেশী-বিদেশী লাখো ফুলের সমারোহ। আছে লাল, হলুদ, সাদা, গোলাপি ছাড়াও লাল-হলুদ মিশ্রণের টিউলিপের সমাহার। টিউলিপ মূলত শীতপ্রধান দেশের ফুল। নেদরল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশেই টিউলিপ ফুলের বাগান পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণের বিষয়। প্রতিবেশী ভারতের কাশ্মিরের শ্রীনগরের ডাললেকের পাশেও দেখা মেলে দৃষ্টিনন্দন টিউলিপ ফুলের বাগান। সেখানে ধরনভেদে প্রতিটি গাছের পাশে লেখা আছে ফুলের নাম ও সাধারণ পরিচিতি।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন : মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ফুল উৎসব। অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিতা কেটে, বেলুন ও শান্তির কপোত উড়িয়ে মাসব্যাপী চট্টগ্রাম ফুল উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে ভাসমান ফুল বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের সমারোহ পরিদর্শন করেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা যারা দায়িত্বশীল আছি এবং ভবিষ্যতে যারা দায়িত্ব গ্রহণ করবে সবার জীবনকে ফুলের মতো পবিত্র করে গড়ে তুলতে হবে।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। স্থানীয় সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো: নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো: খোরশেদ আলম খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: নুরুল্লাহ নুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, সুধীজন ও স্থানীয় শিল্পী, কলকুশলী, অসংখ্য দর্শণার্থীসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আবু সাঈদের মৃত্যুর তারিখ ভুল করা এবং ছবি না থাকা পরিকল্পনার অংশ গাজীপুরে বেতনভাতা বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ-অবরোধ পাবনায় টুকুর জামিন নামঞ্জুর জুতা ও ডিম নিক্ষেপ! তামিম-মুশফিকে জিতল বরিশাল পালাতে গিয়ে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর পার্টনার সুমন গ্রেফতার ওয়ারী ক্ষুদে পণ্ডিতদের পাঠশালার ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ৮ ফেব্রুয়ারি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব দলের জন্য ভালো হবে : চরমোনাই পীর ফুরফুরা শরিফের পীরের ওফাত দিবস আজ মৃত্যুবার্ষিকী : আবু জাহীদ কাদরী মা-বাবা বৃদ্ধ হলে তাদের প্রতি যতœবান হওয়া উচিত : নোবিপ্রবি ভিসি জনতার তোপের মুখে চট্টগ্রামের ‘ওসি’ নেজাম

সকল