প্রতিটি সেক্টরে সংস্কার করে নির্বাচন হওয়া উচিত : হামিদুর রহমান আযাদ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৭
কক্সবাজার-২ আসনের (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) সাবেক এমপি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, গত ১৫ বছরে বিগত সরকার দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছিল। জনগণের বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করা হয়েছে; ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বাকস্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে যারা কথা বলেছে তাদের গায়েবি মামলা, ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে অত্যাচার নিপীড়ন করেছে। তবে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সেই জালিম সরকার দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। এই মহান গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের প্রবল আকাক্সক্ষা সৃষ্টি হয়েছে। যার দরুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণ দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছে। তাদের এই আন্দোলন দেখেই বোঝা যায় গত ১৫ বছর কতটা নিরুপায় ছিল জনগণ। তাই রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে যথাযথ সংস্কার করে নির্বাচন হওয়া উচিত।
গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ঢাকাস্থ মহেশকালী-কুতুবদিয়া ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক এই এমপি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আমরা দেখেছি কিভাবে ইনক্লুসিভলি অংশ নিয়েছে শিক্ষার্থীসহ দেশের সব শ্রেণী-পেশায় মানুষ। একজন মা তার দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শরীক হয়েছেন। গত জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতা যেটা করে দেখিয়েছে সেটা গত ১৫ বছরে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো করতে পারিনি। কিন্তু কিছু দল এ আন্দোলনকে নিয়ে ভাগাভাগির মাধ্যমে পলিটিসাইজড করতে চেয়েছে, আমরা বাধা দিয়েছি। ছাত্রজনতার ডাকেই সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। তাদের আন্দোলনকে পলিটিসাইজড করা ঠিক নয়। আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। মানবিক মর্যাদার প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমেছিল তার বাস্তবায়ন হওয়া দরকার।
ফ্যাসিবাদ পুনরায় ফিরে আসতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বিভক্তির রাজনীতি বেরিয়ে আসা উচিত। এটিই জাতির উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জনগণের স্বার্থকে পেছনে ফেলে দলীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।
যার কারণেই আজ এত দুর্নীতি। জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একজন ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো সক্রিয়। আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি এখনো বাকি আছে। ফ্যাসিবাদ পুনরায় ফিরে আসার সম্ভাবনা নস্যাৎ করতে হবে।
ফ্যাসিবাদ পুনরায় ফিরে আসতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের বিভক্তির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। এটিই জাতির উন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জনগণের স্বার্থকে পেছনে ফেলে দলীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। যার কারণেই আজ এত দুর্নীতি। জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একজন ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো সক্রিয়। আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি এখনো বাকি আছে। ফ্যাসিবাদ পুনরায় ফিরে আসার সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে। তিনি বিলেন, এই ফোরামের মূল লক্ষ্য- মানব কল্যাণ ও উন্নয়ন। মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার সর্ব সাধারণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি ফোরামের নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র নির্বাহী অফিসার এ এম শহিদুল এমরান সভাপতির বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন মাহফুজুর রহমান। এ ছাড়াও সুধীবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহেশখালী সমিতির সভাপতি আব্দুল শুকুর সিআইপি, ছাত্রপ্রতিনিধি আশরাফুল্লাহ খানসহ আরো অনেকে।
মতবিনিময় সভায় মহেশখালী-কুতুবদিয়া উপজেলার ভাগ্যোন্নয়নে বেশকিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন আলোচকরা। এর মধ্যে রয়েছে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, পলিটেকনিক কলেজ প্রতিষ্ঠা, মেধাবৃত্তি চালু, জনদুর্ভোগ নিরসনে রোডম্যাপ তৈরি। শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে কাজ করা, পারাপারের জন্য ব্রিজ নির্মাণ, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা, স্থানীয় কৃষকদের জন্য কৃষি অফিস প্রতিষ্ঠা, ভালো মানের হাসপাতাল নির্মাণ, পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ করা, লবণশিল্প বিকশিত করা, মৎস্যশিল্পকে সমৃদ্ধ করাসহ পানচাষিদের জন্য পর্যাপ্ত কীটনাশক, সার সরবরাহ করা ইত্যাদি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা