রাজধানীর ২০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে ডিম মুরগি বিক্রি করবে পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৬
আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর ২০টি পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রি করবে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে সংগঠনটি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে ঢাকা শহরের ২০টি পয়েন্টে এবং পরবর্তীকালে পর্যায়ক্রমে ১০০টি পয়েন্টে সীমিত লাভে ডিম, ফ্রোজেন মুরগি ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
সুমন হালদার বলেন, করপোরেট কোম্পানিগুলোর ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেটের কারণে ডিম এবং মুরগির বাজারে মাঝে মাঝে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে করপোরেট গ্রুপ ও প্রান্তিক খামারিদের মধ্যে উৎপাদন খরচের বড় ধরনের বৈষম্য একটি অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, প্রান্তিক খামারিরা যেখানে ডিম ও মুরগির ৮০ শতাংশ উৎপাদন নিশ্চিত করে, সেখানে করপোরেট গ্রুপের অবদান মাত্র ২০ শতাংশ। তবুও করপোরেট গ্রুপগুলোর কৌশলগত বাজার নিয়ন্ত্রণের কারণে প্রান্তিক খামারিদের টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে।
করপোরেট গ্রুপগুলো ‘কৌশলে বাজার দখল করে’ দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিটি ডিম উৎপাদনে প্রান্তিক খামারিদের খরচ হয় গড়ে ১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১ টাকা; প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রে ১৫৫ টাকা থেকে ১৭০ টাকা; সোনালি মুরগির ক্ষেত্রে ২৪০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা। আর করপোরেট কোম্পানির উৎপাদন খরচ প্রতি ডিমে ৮-৯ টাকা; ব্রয়লার মুরগিতে ১৩০-১৪০ টাকা; সোনালি মুরগিতে ২০০-২২০ টাকা।
এ বৈষম্যের কারণে করপোরেট গ্রুপগুলো কৌশলগতভাবে দাম কমিয়ে বাজার দখল করে প্রান্তিক খামারিদের দুর্বল করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তার। এ সঙ্কট কাটাতে সরকার ঘোষিত ডিম ও মুরগির ‘যৌক্তিক দাম’ বাস্তবায়ন করা জরুরি বলে মনে করেন সুমন হাওলাদার।
এ সময় বিপিএ-এর সহসভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক মো: ইলিয়াস খন্দকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: কাউছার আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেন, দফতর সম্পাদক মো: মেজবাউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা