০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬
`

ইসরাইলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ৫০

যুদ্ধে নিহত ৯০০ ইসরাইলি সেনা, আত্মহত্যা ২৮ জনের
-

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনুস শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় একটি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে গাজার পুলিশ প্রধানসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আলজাজিরার খবর অনুসারে, গাজার আল-মাওয়াসি ছাড়াও দেইর আল-বালাহ শহরে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শিশুসহ আরো ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আলজাজিরা ও টাইমস অব ইসরাইল।
এই হামলায় টুকরো টুকরো হয়ে পড়া এক শিশুর লাশ আল-আকসা হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে আলজাজিরা জানিয়েছে। এ ছাড়া উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে দখলদার বাহিনীর হামলায় গতকাল শেষ খবর অনুসারে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আলজাজিরার খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খান ইউনুসের আল-মাওয়াসির এ শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
সেখানে একটি তাঁবুতে ছিলেন গাজার পুলিশ প্রধান মাহমুদ সালেহ। হামলায় মাহমুদ সালেহসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন। নিহতের মধ্যে তিন শিশু ও দুই নারীও ছিল। গাজার সিভিল এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে পুলিশ প্রধান মাহমুদ সালাহ ও তার ডেপুটি হুসাম শাহওয়ান রয়েছেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
এর আগে গত বুধবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ হুমকি দিয়েছিলেন যে হামাস ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ অব্যাহত রাখলে ইসরাইল গাজায় তাদের হামলা আরো জোরদার করবে। তবে সম্প্রতি গত কয়েক দিন ধরে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। এরই মাঝে পুলিশ প্রধানের হত্যার ঘটনায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা কতখানি ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী ‘পুরো গাজা উপত্যকাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে।’
গাজা উপত্যকায় গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ৫৮১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ১,০৮,৪৩৮ জন আহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
৯০০ সেনা নিহত
এ দিকে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা সদস্য নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। গাজায় সামরিক আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনীর প্রায় ৯০০ সেনাসদস্য নিহত হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, তাদের ৮৯১ জন কর্মকর্তা ও সৈন্য গাজায় নিহত হয়েছে। ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে ১৯৭৩ সালে ইয়োম কিপুুর যুদ্ধে দেশটির সবচেয়ে বেশি সেনাসদস্য নিহত হয়। এ দিকে ইসরাইলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ২৮ ইসরাইলি সেনা আত্মহত্যা করেছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। প্রায় ১৪ মাস ধরে গাজায় সঙ্ঘাত চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement
রাতের ভোটের ৩০ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে সংস্কার কতটা তার ওপর জটিলতা না থাকলে মঙ্গলবার বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে অর্থনীতি টেনে তোলার চ্যালেঞ্জে অন্তর্বর্তী সরকার সম্মিলিত কল্যাণমুখী সরকার দেশের কল্যাণ আনবে : ডা: শফিক ছাত্রদলকে পড়ায় মনোযোগী হতে বললেন মির্জা ফখরুল বিএফআইইউ প্রধান হতে এস আলম ও আ’লীগের সুবিধাভোগীদের দৌড়ঝাঁপ পদ ছাড়াই রূপালী ব্যাংকে ঢালাও পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন নিম্ন আদালতের ৫০ বিচারক দুপুরে সূর্য উঁকি দিলেও রাত কেটেছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল