০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬
`

বাংলাদেশে পাচারের জন্য গাঁজার চাষ হচ্ছে ত্রিপুরায়

ত্রিপুরায় গাঁজা গাছ ধ্বংস করছে স্থানীয় পুলিশ -

দেশের পূর্বাঞ্চল সীমান্ত পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে গাঁজা পাচার বেড়েছে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ বৃহত্তর কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্ত পথে দেদারছে ভারতের ত্রিপুরা থেকে দেশে আসছে গাঁজা। ২০২৪ সালে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১৫০ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা। এ ছাড়াও অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনী প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ গাঁজা জব্দ করছে।
এদিকে বাংলাদেশে পাচারের জন্য ভারতের ত্রিপুরায় শত শত একর জমিতে গাঁজার চাষ করা হয়। দুই দেশের কয়েকটি সিন্ডিকেট এই গাঁজা কারবার নিয়ন্ত্রণ করছে। ত্রিপুরার সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদ মাধ্যমে জাগরণ ত্রিপুরায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী পুরা ত্রিপুরা রাজ্যে গাঁজার চাষ হয়। অল্প পুঁজিতে বেশি মুনাফা লাভের আশায় সেখানকার বাড়ির উঠোন হোক বা সংলগ্ন জমি, সর্বত্রই গাঁজা গাছের চাষ হয়। রাতারাতি বিলাসবহুল বাড়ি ও গাড়ির মালিক হওয়ার লোভে ত্রিপুরার কৃষকরা ফসলের বদলে গাঁজা চাষে বেশী আগ্রহী। ত্রিপুরায় গাঁজা চাষ বেআইনি হলেও প্রতিরোধে তেমন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। মাঝেমধ্যে কিছু গাছ ধ্বংস করা হয়। ডিসেম্বর মাসে তিনটি জমির দেড় লাখের মতো গাঁজা গাছ ধ্বংস করেছে বিশালগর ও যাত্রাপুর থানা পুলিশ। এসব গাঁজা বাংলাদেশে পাচারের জন্য চাষ করা হয়।
সংবাদে আরো বলা হয়, ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তের কমলনগর, আনন্দপুর, ধনিরামপুর, ঘাটিঘর, দক্ষিণ কলম চৌড়া, উত্তর কলম চৌড়া, বাগবের, মানিকনগর, বেলারচর, বক্সনগর, পুঠিয়া, রহিমপুর, যাত্রাপুর, বিশালগরসহ রাজ্যের সিপাহীজলা জেলা, পশ্চিম জেলা ও খোয়াই জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় গাজার চাষ হয় বেশী। সেখানে বেশির ভাগ সরকারি খাস জমিতে গাজার চাষ হয়। বড় বড় গাঁজা চাষিরা লাখ লাখ টাকা খরচ করে, খামার বাড়ি বানিয়ে বাগানের মধ্যে থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করে বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে শ্রমিক এনে গাঁজা চাষ করায়।।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ত্রিপুরায় চাষকৃত এসব গাঁজার বেশির ভাগ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, বিজয়নগর, কসবা, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা আদর্শ উপজেলা, হবিগঞ্জ ও ফেনী জেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে গাঁজা ঢুকছে বাংলাদেশে। বিজিবি ২৫ ও ৬০ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা প্রতিদিন সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা জব্দ করছে। নিয়মিত থানা ও রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে গাঁজা। ইতোমধ্যে বিজিবি ও পুলিশের হাতে কিছু শীর্ষ মাদককারবারী আটক হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে সীমান্ত আছে ৮৫৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৮৩১ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত সরকার। বাকি ২৬ কিলোমিটার পথে বেড়া নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে কুমিল্লা আদর্শ সদর পর্যন্ত তাদের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় মাদকসহ চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলছে। গত বছর বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১৪৭ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা।


আরো সংবাদ



premium cement
রাতের ভোটের ৩০ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে সংস্কার কতটা তার ওপর জটিলতা না থাকলে মঙ্গলবার বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে অর্থনীতি টেনে তোলার চ্যালেঞ্জে অন্তর্বর্তী সরকার সম্মিলিত কল্যাণমুখী সরকার দেশের কল্যাণ আনবে : ডা: শফিক ছাত্রদলকে পড়ায় মনোযোগী হতে বললেন মির্জা ফখরুল বিএফআইইউ প্রধান হতে এস আলম ও আ’লীগের সুবিধাভোগীদের দৌড়ঝাঁপ পদ ছাড়াই রূপালী ব্যাংকে ঢালাও পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন নিম্ন আদালতের ৫০ বিচারক দুপুরে সূর্য উঁকি দিলেও রাত কেটেছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল